ডার্ক মোড
Friday, 01 November 2024
ePaper   
Logo
রৌমারীতে রাস্তা পাকাকরণে বালুর পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে কাঁদামাটি

রৌমারীতে রাস্তা পাকাকরণে বালুর পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে কাঁদামাটি

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি


কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কলেজপাড়া (সুইচ ) হতে বাইটকামারী হয়ে দাঁতভাঙ্গা শালুমোড় পর্যন্ত ১৪ কি.মি. সড়কে বালুর পরিবর্তে কাঁদামাটি ও দুই নম্বর ইটের খোয়ার সাথে মিশিয়ে পাকাকরণের কাজ চলছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি উন্নতিকরণের কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিবার বিভিন্ন অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ ওঠে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায়। এছাড়াও কুড়িগ্রাম এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী একাধিবার নোটিশ করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজে গাফিলতির ও কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য। সড়কটি সংস্কারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি দাবি করেছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ সড়ক সংযোগ উন্নতি প্রকল্পে বরাদ্দ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে রৌমারী উপজেলার কলেজপাড়া (সুইচ) হতে বাইটকামারী হয়ে দাঁতভাঙ্গা শালুমোড় পর্যন্ত ১৪ কি.মি. সড়কের উন্নতির কাজ পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স হামিদ ট্রেডার্স।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালুর পরিবর্তে কাঁদামাটি ও দুই নম্বর ইটের খোয়ার সাথে মিশিয়ে পাকাকরণের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
বাইটকামারী গ্রামের শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, বালুর পরিবর্তে কাঁদামাটি দিয়ে সড়কের কাজ করছে দেখার কেউ নাই, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের যোগসাজেসে এই অনিয়ম করে সড়কের কাজ করছে ঠিকাদার। অভিযোগ করে কোন লাভ হয় না, তিনদিন থেকে নিষেধ করি ঠিকাদারের লোকদের তারপরেও কাঁদামাটি দিয়ে কাজ করছে।

পূর্বপাখিউড়া গ্রামের হাবিবুর, সুজন, বাদশা মিয়া বলেন, প্রতিবছর বন্যার আগে এসে রাস্তার দুই পাশে গর্ত করে বিল নিয়ে ঠিকাদার চলে যায়, দুই বছর থেকে এই অবস্থা, রাস্তা ভালো ছিলো, দুই পাশে গর্ত করে রাস্তা নষ্ট করছে। সারা রাস্তায় কাঁদামাটি দেওয়ায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পিচ্চিল হয়ে যায়, মানুষ ও যানবাহন কিছুই চলাচল করতে পারেনা।

ঠিকাদার মো. আব্দুল হামিদ বলেন, আমি কয়েক দিন ধরে রৌমারী যাইনা, কেন বালুর পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে বিষয়টি আমার ম্যানেজারের সাথে কথা বলে গুরুত্বসহকারে দেখব, আমি টাকা দিয়ে বালু কিনে নেই, মাটি কেন নিবো।

এলজিইডি’র রৌমারী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শহিদুর ইসলাম খোকন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাজ, অনেকেই দায়িত্বে ছিলেন, আমি ঠিকাদারের ম্যানেজার কথা বলেছি, মাটি মিশ্রিত খোয়া সরিয়ে ফেলে, বালু মিশ্রিত খোয়া দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, আগামীকাল আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের বলেন, কাঁদামাটি দিয়ে সড়কের কাজ করছে, ঠিকাদার, রাস্তা কাজে দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারকে পাওয়া যায়না।

এলজিইডি’র কুড়িগ্রামের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্তি দায়িত্ব রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী) মামুন খান বলেন, আমি কুড়িগ্রাম অফিসে কর্মরত রৌমারী অতিরিক্ত দায়িত্ব, লকডাউনের কারণে রৌমারী যাওয়া হচ্ছে না। লোক পাঠিয়ে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন