ডার্ক মোড
Friday, 01 November 2024
ePaper   
Logo
পূর্বাঞ্চলে বন্যায় তিন রুটে ১৩ কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত

পূর্বাঞ্চলে বন্যায় তিন রুটে ১৩ কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম

ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১৩ কিলোমিটার রেলপথ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রেলপথ মেরামত করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার বেশি লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ দ্রত মেরামত করতে উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।প্রায় ৫৬ কিলোমিটার বন্যায় রেলপথ ডুবে চারদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পূর্বাঞ্চলের চারটি রুটে ৫৬ কিলোমিটারের মতো রেলপথ ডুবে ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চট্টগ্রাম–ঢাকা রেলপথের ফাজিলপুর থেকে কালীদহ হয়ে ফেনী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রেলপথ। এই ৭ কিলোমিটার রেলপথ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথের মাঠ পর্যায়ের চিত্র অনুযায়ী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশল দপ্তরের হিসেব মতে চট্টগ্রাম–ঢাকা, চট্টগ্রাম–নাজিরহাট, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার, লাকসাম–নোয়াখালী রুটে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ পানিতে ডুবেছিল। এর মধ্যে লাকসাম–নোয়াখালী ৪৯ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার রেলপথ এখনো পানির নিচে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশল দপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।চট্টগ্রাম–ঢাকা রেলপথের ফেনীর মুহুরীগঞ্জ থেকে গুনবতী ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার রেলপথ ডুবেছিল।

এর মধ্যে ফাজিলপুর–কালীদহ হয়ে ফেনী পর্যন্ত (চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী লাইনটি) সাড়ে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার রেল লাইন পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। এই রেল লাইনটি চারদিন পানির নিচে ডুবেছিল। রেল লাইনের পাথর–স্লিপারসহ প্রায়ই নষ্ট হয়েছে। এই ৭ কিলোমিটার রেল লাইন আবার করতে হবে।এদিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেল লাইনের মধ্যে জানালীহাট, পটিয়া ও কাঞ্চননগর এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো রেললাইন পানিতে ডুবেছিল। এই রেল লাইন ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওই প্রকৌশলী। এদিকে ষোলশহর–নাজিরহাট রুটে নাজিরহাটের শেষের দিকে ৫ কিলোমিটার রেল লাইন পানিতে ডুবেছিল।প্রকৌশলী রাফি মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, লাকসাম–নোয়াখালী ৪৯ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে (গতকাল বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত পানিতে ডুবা ছিল ১৫ কিলোমিটার। পানিতে ডুবে থাকার কারণে এই রেল লাইনের ক্ষয়ক্ষতি এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।

ফেনী, নাজিরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে যাওয়ায় গত ২২ আগস্ট দুপুর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এদিন সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। এর পরপরই ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তিন দিন পর গত রবিবার চবি রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।এরপর সোমবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের দুটি রেললাইনের মধ্যে একটি রেললাইন দিয়ে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পরের দিন মঙ্গলবার থেকে সিলেট এবং চাঁদপুর রুটেও ছেড়ে যায় ট্রেন। সব রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন