
পুঠিয়ায় রাতের অন্ধকারে ফসলের সাথে এ কেমন শত্রুতা
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজের (কদম) বীজ কে বা কারা রাতের অন্ধকারে কেটে নষ্ট করে দিয়েছে। মঙ্গলবার ১৭ মার্চ দিবাগত রাতের যেকোনো সময় ওই ঘটনা ঘটে।
সারা জমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার উদনপুর গ্রামে মৃত, ফরমান মন্ডল এর ছেলে আস্কান আলী মন্ডল প্রতিবছর পেঁয়াজের বীজ কদম ফুল তৈরি করেন। সে অনুযায়ী এ বছরও এক বিঘার মত জায়গায় পেঁয়াজের কদম ফুলের আবাদ তৈরি করেন। দুষ্কৃতিকারীরা রাতের অন্ধকারে তার প্রায় ১০ কাঠা জমির পেঁয়াজের কদম ফুল কেটে দিয়ে চলে যায়। এতে করে প্রায় তার পাঁচ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন কৃষক আজকাল আলী মন্ডল সহ ওই অঞ্চলের বহু কৃষক। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে সেজন্য দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানান স্থানীয় কৃষকরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক আসলাম আলী বলেন, দিনরাত এক করে খুব কষ্ট করে পেঁয়াজের কদম ফুল তৈরি করছি আর এভাবে রাতের অন্ধকারে কেটে দিয়ে গেলে কৃষকরা কোথায় যাবে আর কিভাবে ফসল করবে। আমরা চাই দ্রুত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক আর এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন না ঘটে।
আরেকজন কদম চাষী কৃষানে নুরজাহান বেগম তিনি ও প্রায় এক বিঘার বেশি জমিতে কদম চাষ করেছেন তিনি বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন পেঁয়াজের বীজ এই কদম ফুল আমরা পরিচর্যা করি। এত কষ্ট করে যদি মানুষেরা রাতের আধারে এসে কেটে দিয়ে যায় তাহলে আমরা কোথায় যাব। আমাদের কষ্টের মূল্য কি থাকলো।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আসকান আলী মন্ডল তিনি বলেন, আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার মত দশ কাটা জমির পেঁয়াজের বীজ কদম ফুল কেবা কারা রাতের অন্ধকারে কেটে দিয়েছে। আমি সকালে জমিতে এসে দেখে আমার মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বুঝতে পারছিলাম না কি করব। কারো সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। তবুও মানুষ এভাবে আমার সাথে শত্রুপনা করল বুঝতে পারছি না। ঘটনার আমি বিচার চাই। স্থানীয় সাধনপুর ফাঁড়ি র পুলিশের সদস্যরা এসে এখান থেকে ঘুরে গেছে।
এসব বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।