নাগেশ্বরীতে নির্বাচনে প্রিজাইডিং ও পুলিং নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাাগেশ্বরীতে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং ও পুলিং নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর নাজমুলের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে অবসর নেয়া শিক্ষকসহ বিভিন্ন প্রকল্পে মাষ্টার রোলে কর্মরত, বিদ্যালয়ের জুনিয়র শিক্ষক ও প্রাইভেট বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের অধিকাংশই ভোট গ্রহনের জন্য সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং পদে প্রশিক্ষন দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানের সিনিয়রদেরকে বাদ রেখে জুনিয়র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাষ্টার রোলে কর্মরতদেরকে স্বজন প্রীতি করে ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভোট প্রশিক্ষন থেকে বঞ্চিত বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, সুপার, প্রধান শিক্ষক ও সিনিয়র শিক্ষকগন।
এতে করে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে। সাপখাওয়া দাখিল মাদ্রাসার অবসর নেয়া শিক্ষক নুরনাহার বেগমের মোবাইল ফোনে প্রশিক্ষনের এসএমএস দেয়া হয়। পরে অনান্য শিক্ষকদের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান প্রধান ইউনুস আলী উক্ত শিক্ষককে প্রশিক্ষন থেকে বিরত রাখেন। শিক্ষকরা আরো জানায় উপজেলা প্রশাসন স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীসহ বিভিন্ন প্রকল্পে মাষ্টার রোলে কর্মরতদের অধিকাংশদের প্রশিক্ষন করানো হয়।
অন্যদিকে অনেক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজনকেও রাখা হয়নি এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছারাও হয়রানীর শিকার শিক্ষকরা বলেন, নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর নাজমুলের নিকট প্রশিক্ষন ও অনান্য বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি ডিসি অফিসের দোহাই দিয়ে তারিয়ে দেন। এমনকি নাগেশ্বরী কামিল এম এ মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে সহকারী প্রিজাইডিং পদে প্রশিক্ষনের জন্য মনোনিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।এ নিয়ে সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উল্লেখ যে গত জাতীয় নির্বাচনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের যাতায়াত বাবদ বরাদ্দকৃত জন প্রতি এক হাজার টাকা করে আত্বসাতের চেষ্টার অভিযোগ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। পরবর্তিতে উক্ত বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমার কোন দায়িত্ব নাই সকল দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, অভিযোগ উঠেছে, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।