ডার্ক মোড
Wednesday, 14 May 2025
ePaper   
Logo
নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ

নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পার্টনারের ৩০ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে।

 ভূক্তভোগী শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল বাতেন এর পুত্র মো: মাসুদুর রহমান জানান, সাংবাদিক নুরুল ইসলামের সাথে পরস্পর পরিচিত ছিল।


২০১০ সালে সে আমাকে জানায়, নরসিংদী সদর উপজেলার পাইকারচর ইউনিয়নে এলজিইডি কতৃর্ক নিদিষ্ট সিডিউল এর মাধ্যমে তার মালিকানাধীন মেসার্স ইসলাম টের্ডাস এর নামে কলাগাচ্ছা বাজার থেকে খাদেমের চর পর্যন্ত রাস্তার ৪৫ মিটার গার্ডার ব্রিজ নির্মানের জন্য ৮৩ লাখ ৫ হাজার ৭০৬ টাকার নির্মাণ কাজটি তার একার পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছেনা।


তাই আপনি মাসুদুর রহমান আমার সাথে পার্টনার থাকলে কাজটি করতে পারব। তখন আমি তার কথায় রাজি হই এবং সাংবাদিক নুরুল ইসলামকে আমি ৩০ লাখ টাকা দেই এবং উভয়ে একটি চুক্তিনামা করি।

 চুক্তিনামায় শর্ত ছিল শতভাগ এর মধ্যে সমহারে ১মপক্ষ মো: নুরুল ইসলাম ৫৫ ভাগ এবং আমি মাসুদুর রহমান দ্বিতীয় পক্ষ ৪৫ ভাগ হারে খরচাদি ও লভ্যাংশ বর্ণিত কাজটি করতে যাহা প্রয়োজন উক্ত হারে ব্যয় করতে সম্মত হই।


কাজটি সমাধা করতে আমাদের প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়। কাজ শেষ করে মো: নুরুল ইসলামতার প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকল্পের সমুদয় টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যায়।

 তখন আমি আমার পুজি ৩০ লাখ টাকা ও লভ্যাংশ চাহিলে তিনি বিভিন্ন তাল বাহনা করতে থাকেন।

 এমনিভাবে তিনি আমাকে অনেক দিন অতিবাহিত করেন।

একদিন সদর উপজেলা মোড়ে নুরুল ইসলামের সাথে আমার দেখা হলে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা চাহিলে সে আমাকে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পরে তার সাথে থাকা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকে।

এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম আমাকে পিস্তল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।

পরে একজন সন্ত্রাসী এসে আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে।

এতে আমার চোখের উপরের অংশ কেটে রক্তাক্ত জখম হই। পরে আমি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই।


অত:পর গত ১৯.৯.২০১২ইং তারিখে মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে নরসিংদী পুলিশ সুপার বরাবরে নুরুল ইসলামের নিকট থেকে তার পাওনা ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। যার স্মারক নম্বর:৫০৮২৩/১২।

পরে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম তার পেশী শক্তির বলে এবং সাংবাদিকতার পাওয়ার খাটিয়ে পুলিশ সুপারের নিকট দাখিলকৃত আবেদনটির সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

সাংবাদিক নুরুল ইসলামের ভয়ে মো: মাসুদুর রহমান বর্তমানে অন্যত্র পালিয়ে দিনাতিপাত করছেন।

 নুরুল ইসলাম প্রতিনিয়ত মাসুদুর রহমানকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।

মাসুদুর রহমান আরো বলেন আর্থিক অনটনের মধ্যে তিনি তার পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে অত্যন্ত মানবেতন জীবন যাপন করছে। স্থানীয় প্রশাসনের নিকট তার আকুল আবেদন সাংবাদিক নুরুল ইসলামের নিকট থেকে তার পাওনা ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য।

বিষয়টি নিয়ে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: নূরুল ইসলাম এর মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন