দোহারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের নামে মামলা
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন-সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে আদালতের নির্দেশে একটি মামলা রুজু করেছেন দোহার থানা পুলিশ।
রোববার রাতে ১৫ জনকে এজাহারনামীয় ও আরও অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামী করে মেঘুলা গ্রামের মৃত.আমির উদ্দিনের ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন বাদী হয়ে ৩৪/৩২৩/৩৭৯/৩৮৬/৩০৭/৪৪৭/৫০৬ ধারায় হামলা, জমি দখল,চাঁদা দাবি ও লুটপাটের অভিযোগ এনে একটি মামলা রুজু করা হয়।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মো.রেজাউল করিম জানান,গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদী রোকনুজ্জামান রোকনের দায়েরকৃত পিটিশন মামলা নং- ৪৫১/২০২৪ ,৮৫৫ নং স্মারকের এক আদেশে এফআইআর মুলে রেকর্ড নিতে দোহার থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।তারই ধারাবাহিকতায় সরেজমিনে তদন্ত করে গত ২৯ সেপ্টেম্বও রোববার রাতে মামলাটি রুজু করা হয়।
মামলার আসামীরা হলেন আওয়ামী সা¤্রাজ্যের ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন-সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান(৭৪), ঢাকা জেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সহ-সভাপতি ছালাম শিকদার(৫৭),দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য খোকন(৫২), নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোতালেব(৫২), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাগিনা ও সাবেক যুবলীগ নেতা মো.হাবিব মামা(৫৪), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন-সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মাঝি(৫৯), প্রমিজ বেসরকারী ক্লিনিকের এমডি আবুল হাওলাদার(৫২),উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য শহিদুল(৪২),আক্তার হোসেন(৪৫),মিজানুর রহমান(৪৫), রাহাত মাঝি(৩৬), সাবেক নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন(৫৪), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অনতু (২৭), পিয়(২৭) ও মনির(৩২) সহ অজ্ঞাত আরও ৫জন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বলেন, দোহার থানাধীন নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা গ্রামে তার পিতার নামে রেকডিও সম্পত্তি রয়েছে।উক্ত স্থানের কিছু অংশে বেশ কয়েকটি দোকান নির্মান করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। মামলার আসামীগনরা আওয়ামী সা¤্রাজ্যের আমলে প্রভাবশালী ও দখলবাজ হওয়ায় আমার তিনটি দোকান ভাংচুর করে মালামাল লুট করেন। এ সময়ে দোকানের ক্যাশ বাক্সে রাখা এক লক্ষ টাকাও লুটপাট করেন। এতে তিনি দাবী করেন তার মোট ৩৮ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন-সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বলেন, মামলার বাদী আমিন উদ্দিন গোদা একজন রাজাকার ছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে পাক-বাহিনীর সহযোগিতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি নিজ দখলে নেন।পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হলে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করেন।
মামলা ও দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সবই রাজনৈতিক হয়রানী মামলা। তাছাড়া বর্তমানে সেই জায়গায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্টিত হয়েছে।