ডার্ক মোড
Saturday, 19 April 2025
ePaper   
Logo
ঝিনাইগাতীর গজনী বিনোদন কেন্দ্রের বন্যপ্রাণী     গারো পাহাড়ে অবমুক্ত

ঝিনাইগাতীর গজনী বিনোদন কেন্দ্রের বন্যপ্রাণী গারো পাহাড়ে অবমুক্ত

 

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ বিরোদন কেন্দ্রে অবৈধভাবে লালনকৃত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে গারো পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল রাতে বনবিভাগের অপরাধ দমন ইউনিটের অভিযানে ৭ প্রজাতির ১৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানার নেতৃত্বে এ অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে

উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তানভীর আহমেদ, শেরপুর জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল আমিন, বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সুমন মিয়া প্রমুখ। ওই অভিযানে ১টি অজগর সাপ, ৪টি  বনবিড়াল, ১টি গন্ধগোকুল, ১টি শিয়াল, ১টি বাজ পাখি, ৫টি বানর ও ৪টি হরিণ উদ্ধার করা হয়। হরিণ ৪টি চিড়িয়াখানার ইজারাদারের জিম্মায় রেখে, শিয়াল ও বানরগুলো রাতেই গারো পাহাড়ের বনে অবমুক্ত করা হয়। বাকি ১০টি প্রাণী বন

বিভাগের তত্ত্ধসঢ়;বাবধানে রাখা হয়। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের, পর সেগুলোর শারীরিক বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এ মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়। এটি পরিচালনা করেন ইজারাদার মো: ফরিদ আহমেদ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও

নিরাপত্তা আইন, ২০১২—এর ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী আটক রেখে গজনী ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য প্রদর্শন করে আসছিলেন ইজারাদার ফরিদ আহমেদ। ইজারাদার ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করা হয়। বন বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া বন্যপ্রাণী রাখা যাবে না। বুধবার বন কর্মকর্তারা প্রাণীদের তালিকা তৈরি করে শুক্রবার রাতে লাইসেন্সবিহীন প্রাণীগুলো জব্দ করে। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, দখলে রাখা,

প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তাই এখান থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়। জব্দকৃত প্রাণীগুলো কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাভাবিক হলে প্রাণীগুলো অবমুক্ত করা হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন