ডার্ক মোড
Saturday, 19 April 2025
ePaper   
Logo
জামালপুরে পুলিশ সুপারের নিকট এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

জামালপুরে পুলিশ সুপারের নিকট এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

 

 
জামালপুর সংবাদদাতা:
জামালপুর সদর থানার এসআই শাহীন আলমের বিরুদ্ধে মামলার মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ৬ এপ্রিল স্থানীয় সংবাদপত্র সত্যের সন্ধানে প্রতিদিনের সম্পাদক-প্রকাশক রাশেদুর রহমান রাসেল বাদি হয়ে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন। এতেই শেষনয়, এই মিথ্যা প্রতিবেদনের ফলে ভূক্তভোগি সাংবাদিক পরিবারকে হেয়প্রতিপন্নসহ হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগের কপি জেলা প্রশাসনসহ দুর্নীতি দমন কমিশনেও পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সাথে জমির মালিকানার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিজ্ঞ আদালতের রায়ের কপিও সংযুক্ত করেছেন।
 
সাংবাদিক রাসেল ও তার পরিবারের অভিযোগ, সদর উপজেলার কুটামনি এলাকার ওই সাংবাদিক পরিবারের সাথে আমির উদ্দিন পরিবারের মধ্যে রেকর্ড কারেকশন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধীয় জমিটি ৭৫ বছর যাবৎ রাসেলের দাদা হাজী কমর উদ্দিন গংদের ভোগদখলে আছে। বিআরএস রেকর্ডে ভুলবশত: জনৈক আমির উদ্দিনের নাম লেখা হয়। এ নিয়ে জমির ভোগদখলকারি হাজী কমর উদ্দিনের বংশধর জামালপুর আদালতে রেকর্ড কারেকশন মামলা (নং-৬৭০/২২) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত কমর উদ্দিন গংদের পক্ষে রায় দেন। যার বিআরএস খতিয়ান নং- ৩১৯ এবং দাগ নং ২০৫১। সাংবাদিক রাসেল আরো বলেন, বিরোধীয় জমিটি আগেও আমাদের ভোগ দখললে ছিল। এখনো আছে।
 
ইতোমধ্যেই আমির উদ্দিনের কাছ থেকে নালিশি জমিটি ক্রয় করেন-দুলাল উদ্দিন। দুলাল উদ্দিন উক্ত জমির মালিকানা দাবি করে জামালপুর আদালতে মামলা দায়ের করলে নতুন করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফা দেন দরবার করেন। একপর্যায়ে গ্রাম্য সালিশে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনায় সাংবাদিক রাসেলের পরিবারের পক্ষে (হাজী কমর উদ্দিনের পক্ষে) রায় দেয়া হয়। সাংবাদিক রাসেল বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আর এই হয়রানিমুলক মামলার প্রতিবেদনও দেয়া হয়েছে মনগড়া এবং মিথ্যা। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। সরেজমিন তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে এসআই শাহিন আলমের সেলফোনে  কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
 
জমির দলিলদাতা আমির উদ্দিনের ছেলে আ: সোবহান জানিয়েছেন, দুলাল উদ্দিন আমার ফুফাত ভাই। আমার পিতা জীবিত থাকাবস্থায় কৌশলে দুলাল উদ্দিন জমি লিখে নেন। অনেক পরে এটা জানতে পাই। ওই জমিটি আমাদের দখলে আগেও ছিল না। এখনো নেই। আমরা কোন কলহ চাই না।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম জানান-অভিযোগের তদন্ত চলছে। দোষি সাব্যস্ত হলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন