ডার্ক মোড
Tuesday, 01 April 2025
ePaper   
Logo
চীনের ২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদান প্রতিশ্রুতি পেল বাংলাদেশ

চীনের ২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদান প্রতিশ্রুতি পেল বাংলাদেশ

 স্টাফ রিপোর্টার 

 

বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীনে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের মধ্যে শুক্রবার এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকার চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

তাদের বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস লিখেছে, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। প্রধান উপদেষ্টা চীনের বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানানোর পর এসেছে।

 

চীন মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের বিষয়টি তুলে ধরে দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর।”

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত ‘উন্মোচন করতে পারে’।

 

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময়, অধ্যাপক ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার অনুরোধ জানান।

প্রেসিডেন্ট শি নিশ্চিত করেন যে, চীনা কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বৈচিত্র্যময় করতে চাইলে বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য তিনি উৎসাহিত করবেন, বলেন আশিক চৌধুরী।

তিনি বলেন, “এই সফর অনেক চীনা কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার।”

 

এদিন মুহাম্মদ ইউনূস ও আশিক চৌধুরী বেইজিংয়ে বিশ্বের কিছু বৃহৎ চীনা কোম্পানিসহ ১০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে বাংলাদেশে উৎপাদন খাতে বিশেষ করে উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধ শিল্প, হালকা প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। তারা তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তব্য রাখেন।

আশিক চৌধুরী বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।”

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন