ডার্ক মোড
Friday, 01 November 2024
ePaper   
Logo
চাঁদপুরে জামানত হারালেন এক দলের চেয়ারম্যান ও অন্য দলের মহাসচিব

চাঁদপুরে জামানত হারালেন এক দলের চেয়ারম্যান ও অন্য দলের মহাসচিব

চাঁদপুর প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী চাঁদপুরের ৫টি আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে চাঁদপুর-৫ ( হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসন থেকে চেয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মুজাদ্দেদী এবং চাঁদপুর-৪ ( ফরিদগঞ্জ ) আসন থেকে নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান। এই দুই প্রার্থীসহ ৫টি আসনের ২০ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

জামানত হারানো প্রসঙ্গে কথা হয় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জামসেদ সরকারের সাথে। তিনি বলেন, একটি আসনের মোট প্রদত্ত ভোট সংখ্যার ৮ ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে জামানত হারান ওই প্রার্থী। সে আলোকে আসনগুলোর প্রদত্ত ভোট সংখ্যা বিশ্লেষণে চাঁদপুরে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ২০ জন প্রার্থী জামানত হারালেন।

ফরিদগঞ্জ আসনের ১১৮টি কেন্দ্রে ড. মো. শাহজাহান ভোট পেয়েছেন মাত্র এক হাজার ৭৪টি। অথচ নির্বাচনে তার কর্মী ছিল দুই হাজারেরও বেশি।

জানা গেছে, ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এ গঠিত চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৬৯,১২৯ জন । পুরুষ ভোটার হচ্ছে ১,৯২,৭৬৮ জন। নারী ভোটার হচ্ছে ১,৭৬,৩৬১ জন। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১১৮টি। এসব কেন্দ্র পরিচালনায় বিএনএম মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাহানের কর্মী কাজ করে দুই হাজারের বেশি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক কারাবন্দি নেতাকর্মীকে জেল থেকে জামিনে ছাড়িয়ে নেন তিনি। ভোটের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও মন জয়ের চেষ্টা করেন ভোটারদের। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

চাঁদপুর-১ (কচুয়া): আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীক ৫৭৭৯ ভোট এবং জাসদের সাইফুল ইসলাম মশাল প্রতীক ৩৮২১ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন। এই আসনে প্রদত্ত ভোট হচ্ছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬১৮।

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট। জাতীয় পার্টির এমরান হোসেন মিয়া লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন এক হাজার ২৬৫ ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. মনির হোসেন একতারা প্রতীক পেয়েছেন ৯৫৮ ভোট এবং জাসদের মো. হাছান আলী সিকদার মশাল প্রতীক পেয়েছেন ৫৮৭ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন। এই আসনে প্রদত্ত মোট ভোট হচ্ছে দুই লাখ ১৩ হাজার ২৬।

চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর): আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেদওয়ান খাঁন ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন এক হাজার ২২৮ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মহসীন খান লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন ৮২৮ ভোট। জাকের পার্টির মো. কাওছার মোল্লা গোলাপ ফুল প্রতীক পেয়েছেন এক হাজার ৪৩৭ ভোট। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন মোমবাতি প্রতীক পেয়েছেন ৭৩৩ ভোট এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ফুলের মালা প্রতীক পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে মোট প্রদত্ত ভোট সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ৪০ হাজার ২৪২।

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ): আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম প্রার্থী ড. মো. শাহজাহান নোঙ্গর প্রতীক পেয়েছেন এক হাজার ৭৪ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজ্জাদ রশিদ লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন ৫৯০ ভোট। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ফুলের মালা প্রতীক পেয়েছেন ২০১ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী আবদুল গনি আম প্রতীক পেয়েছেন ২০৮ ভোট। তৃণমুল বিএনপি প্রার্থী মো. আবদুল কাদির তালুকদার সোনালী আঁশ প্রতীক পেয়েছেন ৩৬০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে মোট প্রদত্ত ভোট সংখ্যা হচ্ছে ৫৯ হাজার ৮৪০।

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি): আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মুজাদ্দেদী চেয়ার প্রতীক পেয়েছেন সাত হাজার ১৪৪ ভোট। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. মনির হোসেন মজুমদার মশাল প্রতীক পেয়েছেন ৩৮০ ভোট। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ফুলের মালা প্রতীক পেয়েছেন ৫৫৬ ভোট। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী আক্তার হোসেন ছড়ি প্রতীক পেয়েছেন ১৩৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে মোট প্রদত্ত ভোট সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৯১।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন