
চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজানে ভাত খাওয়ার সময় মো. মানিক আব্দুল্লাহ (৪৫) নামে এক যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সস্ত্রাসীরা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরীব উল্লাহ পাড়াস্থ ভান্ডারী কলোনি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মানিক ওই এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে। সেই দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে তিনি দেশে আসেন। এই যুবদল কর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। তাঁর ১০ বছর বয়সী ১ ছেলে ও ৫ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় ভান্ডারী কলোনির হানিফের ভাড়া ঘরে খাবার খেতে গিয়েছিল মানিক। এসময় অজ্ঞাতনামা- ৮/১০ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শর্টগানের গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করেন। তাঁর শরীরের তিনটি স্থানে গুলি লাগে। হত্যার পর সন্ত্রাসীরা অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে যোগে পালিয়ে যায়।হত্যাকারীরা মুখোশধারী ছিল। নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই সাকিল আহমেদ বলেন, তাঁর ভাই মানিক এর ওপর তিন মাস আগেও হামলা করেছিলেন সস্ত্রাসীরা।শনিবার রাতে ভান্ডারী কলোনির হানিফের ভাড়া ঘরে খাবার খেতে গেলে ওই সন্ত্রাসীরাই ভাইকে খাবার খাওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিগত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও নির্যাতনের শিকার হয়েছে আমার ভাই। এরপর বিদেশে চলে যান। দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকতে হয়েছে আমার ভাইকে। দেশে ফেরার পর দলের প্রতিপক্ষের হাতে জীবন দিতে হলো। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাউজান থানার ওসিসহ একদল পুলিশ। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবদলকর্মীর মাথা, ঊরু ও পায়ে গুলি করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চলছে ।