ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে পরিত্যক্ত কারাগারে ফিলিস্তিনিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দখলদার ইসরায়েলের সেনাদের টানা কয়েকদিনের বোমার হামলার মধ্যে বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে কয়েকশ ফিলিস্তিনি একটি পরিত্যক্ত কারাগারে আশ্রয় নিয়েছেন। অথচ এই কারাগার তৈরি করা হয়েছিল খুনি ও চোরদের আটকে রাখার জন্য।
ইয়াসমিন আল-দারদেশি নামের এক নারী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রথমে তারা একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে গেছেন ওই কারাগারে। বর্তমানে কারাগারটির নামাজের কক্ষে অবস্থান করছেন। এখানে থাকায় সূর্যের প্রখরতা থেকে বাঁচতে পারলেও তার এবং অন্যান্য মানুষের পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি।
ইয়াসমিনের সঙ্গে রয়েছেন তার স্বামী। যার কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। অসুস্থ এ মানুষটি কোনো ধরনের লেপ ও তোষক ছাড়াই থাকছেন।
এই নারীর আশঙ্কা আরেকবার হয়ত তাদের বাস্তুচ্যুত হতে হবে।
দখলদার ইসরায়েলের দাবি বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারা গাজায় অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা বলছেন ইসরায়েলি হামলায় তারা সব হারিয়েছেন। এখন তাদের যাওয়ার আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। তাদের শঙ্কা আরেকবার হয়ত বাস্তুচ্যুত হতে হবে তাদের।
গত ১৩ জুলাই আল-মাওয়াসি নামক একটি জায়গায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়। যদিও ইসরায়েলই জানিয়েছিল, এই অঞ্চলটি বেসামরিক মানুষের জন্য নিরাপদ একটি অঞ্চল হবে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রতি ১০ জনের ৯ জনই এখন বাস্তুচ্যুত। তাদের থাকার মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: রয়টার্স