‘বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ফোন, ইমেইল পাচ্ছি’, বিবৃতি ভারতের ক্লাবের
স্পোর্টস ডেস্ক
গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল। যার সর্বশেষ রূপ দেখা যায় সম্প্রতি এক সময়ের সন্ন্যাসী এবং বর্তমানে বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতন জাগরনী মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ‘কথিত’ নির্যাতনের অভিযোগে সরব ভারত। অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশটির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
যত দিন যাচ্ছে দুই দেশের পরিস্থিতি ততই ঘোলাটে হচ্ছে। একদিন আগেই ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন প্রাঙ্গণে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। এদিকে, ভারতের অনেক হোটেল, হাসপাতাল বাংলাদেশিদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
এরই মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর এক মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে বাংলাদেশে। এবার পশ্চিমবঙ্গের ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল বাংলাদেশ ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানাল। প্রসঙ্গত, লাল-হলুদের অধিকাংশ সমর্থকের ‘শিকড়’ বাংলাদেশে। এ দেশ থেকে অনেকে ক্লাবটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও দাবি তাদের।
ইস্টবেঙ্গলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই পূর্বপুরুষের শিকড় পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে। আমাদের অনেক সমর্থকের পরিবার, আত্মীয়স্বজন দেশভাগের আগে এবং পরবর্তী সময়ে এবং ‘৬০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ‘৭০-এর দশকের প্রথম দিকে এই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।’
বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ফোন ও মেইল আসছে বলেও দাবি ক্লাবটির। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা তাদের থেকে প্রচুর ফোন এবং মেইল পাচ্ছি, যেখানে তারা আমাদেরকে এই বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকী আমাদের সমর্থকরা যারা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসেছেন তারাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ক্লাবটির সচিব রূপক সাহার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর এই ধরনের ব্যাপক নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে তারা যেন দয়া করে এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ওপারে আমাদের মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে এবং শান্তি স্থাপন করতে দিশা দেখান।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে কলকাতার ইস্ট বেঙ্গলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার মোনেম মুন্না। শুধু তিনি-ই নন, ওই সময় ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছিলেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম, গোলাম গাউস, রিজভী করিম রুমির মতো ফুটবলাররা। সর্বশেষ ক্লাবটির নারী দলের হয়ে খেলেছেন সানজিদা আক্তারও।