ডার্ক মোড
Sunday, 23 February 2025
ePaper   
Logo
৩০০ টাকা মজুরী দাবীতে চা শ্রমিকরা অনড় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় চা শ্রমিকরা

৩০০ টাকা মজুরী দাবীতে চা শ্রমিকরা অনড় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় চা শ্রমিকরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

১৭তম দিনে ৩০০ টাকা মজুরী দাবীতে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগান সহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা অনড় রয়েছেন। এদিকে এই ১৭ দিনে বিভিন্ন ভাবে শ্রম অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সাথে তিন দফা বৈঠক হওয়ায় পরও কোন সমাধান হয়নি। সাধারণ শ্রমিকদের একটাই দাবী ৩’শ টাকা মজুরি দিতে হবে এবং সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ঘোষনা করতে হবে।

আজ ও কাজে যোগ দেননি শ্রমিকরা। সাধারণ চা শ্রমিকরা প্রধান মন্ত্রীর কাছ থেকে সরাসরি ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রতিদিন চা শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির সামন কিংবা আঞ্চলিক মহা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও অবরোধের মতো কর্মসূচী পালন করছেন।

(২৫আগস্ট) বৃহস্পতিবার এখনোও শ্রমিক কাজে যাননি। চা শ্রমিকরা মৌলভীবাজার শহরের ঢাকা- মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহা সড়কের বেরীর পার মোড়ে রাস্তায় বসে শ্রমিকরা বিকেল ৩টা থেকে বিক্ষোভ পালন শুরু করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ১৭তম দিনে ৩০০ টাকা মজুরী দাবীতে দেওরাছড়া চা বাগান, প্রেমনগর চা বাগান, মৌলভী চা বাগান, মাজদিহি চা বাগান ও হামিদিয়া চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদরের আসেন।

এছাড়াও মজুরী আদায়ে জেলার ৯ টি বাগানে কাজে না গিয়ে বাগানের ভেতর বিক্ষোভ করছেন।

এদিকে শ্রমিকরা যাতে কাজে যোগদেন এ লক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভিন্ন বাগানে গিয়ে পাঞ্চায়েত কমিটির সাথে বৈঠক করে কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।

উল্লেখ্য গত ৯আগষ্ট থেকে শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরীর দাবীতে ধর্মঘটে নামেন। ২ দফা মজুরী বাড়িয়ে ১৪৫টাকা করা হলে তা শ্রমিকরা প্রত্যাখান করেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সাথে এক বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দূর্গাপুজার আগে নতুন মজুরি ঘোষনা করবেন। তার আগ পর্যনমশ চলমান ১২০ টাকা মজুরী রেখেই কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয় চা শ্রমিকদের। সেই প্রস্তাব মেনে প্রথমে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একদিন পর আবারও কর্মবিরতিতে নামেন শ্রমিকরা।

 

 

 

 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন