
হাতিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ
হাতিয়া প্রতিনিধি
নোয়াখালী হাতিয়ায় নাজেরা জামাতের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বাসায় ডেকে নিয়ে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সোমবার (৭ জুলাই) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এর আগে ২৩জুন উপজেলার চরকিং শুল্যুকিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা ছাইফুল ইসলাম একই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। সে স্থানীয় ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক ও দক্ষিন শুল্যকিয়া জামে মসজিদের খতিব।
থানায় করা মামলার সূত্রে জানাযায়, ২২ জুন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তাকে মাদ্রাসা সংলগ্ন বাসায় ডেকে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক দুইবার বলৎকার করে। পরদিন ২৩ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে আবারও একইভাবে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে বলৎকার করে।
ঘটনার পর শিশুটির পায়ুতে মারাত্মক ক্ষত ও রক্তক্ষরণ হলে পরিবারের লোকজন প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১ জুলাই হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ এটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। ভুক্তভোগী পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করলে তারা মামলা করার সিদ্বান্ত নেই।
মামলার বাদি জানান, তাঁর ছেলে খুবই অসুস্থ। লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি প্রথমে কাউকে জানানো হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষককে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। তিনি দ্রুত আসামীকে আটক করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
এই বিষয়ে মসজিদ কমিঠির সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা সবাই মিলে তাকে মসজিদের নামাজ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেছি। ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক এর আগেও কয়েকবার এমন অনৈতিক কাজ করেছেন। এবিষয়ে তাকে সংশোধন হওয়ার জন্য বলার কারেণে তাদের সাথে খারাপ আচরন করেন। পরে তারা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বের হয়ে যান।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, এই বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।