ডার্ক মোড
Tuesday, 24 December 2024
ePaper   
Logo
সিরাজগঞ্জ জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: নিবাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের যোগসাজসে একই কাজের নামে দুই প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: নিবাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের যোগসাজসে একই কাজের নামে দুই প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোটার

স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর সিরাজগঞ্জ জেলা নিবাহী প্রকৌশলীে মো: মিজানুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মশিউল আলম, কামারখন্দ উপজেলা প্রকৌশলী হানিফ তালুকদার ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজসে একই কাজের প্রক্কলন দুটি প্রকল্পে দাখিল করে টেন্ডার অর্থ আত্মসাত ও একই কাজের জন্য দুই ঠিকাদারকে সরকারি অথ পরিশোধ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়াা গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায় এলজিইডির সিরাজগঞ্জ জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চৌবাড়ী-বলরামপুর সড়কে দুটি বক্স কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষন/পুনঃ নির্মাণ করা হয়। একটি কালভার্ট চৌবাড়ী নামে পরিচিত অপরটি বাঁশতলা নামে পরিচিত। দুটি ব্রিজের কাজ পায় মের্সাস সবুজ এন্টার প্রাইজ যার নিমার্ণ ব্যয় সহ রিভাইজসহ প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি একই সড়কের টেন্ডার হয় আরটিআইপি-২ প্রকল্প থেকে। যথারিতী আরটিআইপি-২ প্রকল্পের আওতায় থেকে জনৈক ঠিকাদার কাজ সমাপ্ত করে কাজের বিল নিয়ে নেয় দুটি ব্রিজের এপ্রোচের বিল প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা, উল্লেখ্য দুইটি ব্রিজের এপ্রোচ হচ্ছে ব্রিজে উঠার আগে ৮ মিটার দীর্ঘ সড়ক এখানে বালুফিলিং সাববেজ ডাব্লিউডিএম এবং ৪০ মিটার কার্পেটিং করে আরটিআইপি-২ প্রকল্প থেকে ঠিকাদার বিল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে, সিরাজগঞ্জ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মেসার্স সবুজ এন্টারপ্রাইজ কাজ না করে এপ্রোচের প্রায় ১২ লক্ষ টাকা এবং রিভাইজের ১৫ লক্ষ টাকা সহ মোট ২৭ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।

এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ করেন কাজ না করেই সরকারের ২৭ লক্ষ টাকা লোপাট করা হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলা প্রকৌশলী মো: আজিদ হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হানিফ তালুকদার জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজসে এই সরকারি টাকা উত্তোলন করে ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুই ঠিকাদার এর রাস্তার কাজের এমবি তদন্ত করলেই দুর্নীতির থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।

সরকারি অর্থ আত্মসাত এর উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২টি প্রকল্প একই কাজের ইষ্টিমেট (প্রাক্কলন) ২ জন প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর হতে অনুমোদনসহ টেন্ডার দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ পিপিআর অনুযায়ী কোন অবস্থাতে একই রাস্তা/সড়ক ২ টি প্রকল্পে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা যায় না। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওভারলেপিং প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে দুই বার টেন্ডার করা হয়েছে যাহা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

জানা যায়, মো: মশিউল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তর, এলজিইডি সিরাজগঞ্জে প্রায় ২০ বছর যাবত একই পদে কর্মরত থেকে কৌশলে বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। নির্বাহী প্রকৌশলীর সহিত শলাপরামশ করে বিভিন্ন উপজেলা হতে ঘাপলা ইষ্টিমেটসহ ওভারলেপিং প্রকল্প প্রস্তুত ও অনুমোদন করিয়ে টেন্ডার করে একইভাবে সরকারি অর্থ লোপাট করে বিশাল অট্টালিকা ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যাহা দুদক কর্তৃক তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে।

উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন উপজেলা হইতে চাহিদা অনুযায়ী প্রাপ্ত সকল ইষ্টিমেট উপ-সহকারী প্রকৌশলী দ্বারা স্বাক্ষর করিয়ে সদর দপ্তরে প্রেরণ করে অনুমোদন নিয়ে চুড়ান্তভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকেন। আর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: মহির উদ্দিন শেখ, সিরাজগঞ্জ জেলা নিবাহী প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মশিউল আলম এবং কামারখন্দ উপজেলা প্রকৌশলী মো: হানিফ তালুকদার এভাবে ঘুষ দুনীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অজন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।


এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সংগে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেন নাই।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন