সমকামিতা হারাম, মনের ক্ষতি করে: কাতার বিশ্বকাপের দূত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
‘সমকামিতা মনের ক্ষতি করে এবং এটি হারাম’ বলে মনে করেন কাতার বিশ্বকাপের দূত খালিদ সালমান। দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে উপসাগরীয় এই দেশটিতে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর আগে জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল জেডডিএফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজধানী দোহায় ধারণ করা এই সাক্ষাৎকার মঙ্গলবার সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাক্ষাৎকারে সাবেক কাতারি ইন্টারন্যাশনাল খালিদ সালমান সমকামিতা সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল মুসলিম এই দেশে সমকামিতা অবৈধ।
কিছু ফুটবল খেলোয়াড় বিশ্বকাপ দেখতে কাতার ভ্রমণ করা ভক্তদের, বিশেষ করে এলজিবিটি প্লাস ব্যক্তি ও নারীদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, কাতারের আইন এসব গোষ্ঠীর জন্য বৈষম্যমূলক।
ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ১০ লাখের বেশি পর্যটক কাতার ভ্রমণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছে দেশটি। সাক্ষাৎকারের একাংশে খালিদ সালমান বলেছেন, এখানে আমাদের আইন তাদের মেনে নিতে হবে। (সমকামিতা) হারাম। হারাম মানে কি জানেন?
সমকামিতা হারাম কেন, প্রশ্নের জবাবে কাতারের এই বিশ্বকাপ দূত বলেন, ‘আমি কট্টরপন্থী মুসলিম নই। কিন্তু এটা হারাম কেন? কারণ এতে মনের ক্ষতি হয়।’
খালিদ সালমানের একজন সহকারী কর্মকর্তা এই প্রশ্নের পরপরই সাক্ষাৎকার গ্রহণ পর্বটি বন্ধ করে দেন। এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও।
তবে আয়োজকরা বারবার বলেছেন, বিশ্বকাপ চলাকালীন কাতারে প্রত্যেককে স্বাগত জানানো হবে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে চলতি বছরের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার।
বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে স্টেডিয়াম ও অন্যান্য স্থাপনার নির্মাণকাজে নিয়োজিত বিদেশি শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও বিধি-নিষেধমূলক সামাজিক আইনের কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর তীব্র চাপের মুখে রয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের ছোট এই দেশ।
কাতারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ডের কারণে ফুটবল দল ও কর্মকর্তাদের প্রতি আগামী ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপ বয়কটের আহ্বানও জানিয়েছেন অনেকে।
সূত্র: রয়টার্স।