
সন্দ্বীপে সমৃদ্ধি কর্মসূচির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা : পুরস্কার বিতরণ
বাদল রায় স্বাধীন,সন্দ্বীপ
সন্দ্বীপে সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ জুন শনিবার সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভস (এসডিআই) এর বাস্তবায়নে ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর সহোযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কালাপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানে সমৃদ্ধি কর্মসূচির শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রর শিশু ও বাচ্চার, কৈশোর কার্যক্রমের কিশোর-কিশোরীরা, যুব কার্যক্রমের যুবক-যুবতী ও প্রবীণ কার্যক্রমের জ্যেষ্ঠ প্রবীনেরা বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
খেলা ধুলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসডিআই সন্দ্বীপ অঞ্চলের আরএম মোঃ কামাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ সিরাজদ্দৌল্যা।
পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন, মাস্টার আব্দুর রহমান প্রধান শিক্ষক এস ডি আই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ মামুন উদ্দীন।
অন্যান্যদের মধ্যে এসডিআই বাতেন মার্কেট শাখার ম্যানেজার সুব্রত রায়,সমৃদ্ধি প্রকল্পের উপজেলা
সহকারী সমন্বয়কারী মো: মনির উদ্দিন,মাস্টার নান্টু, মোহাম্মদ মনির হোসেন আহ্বায়ক যুবদল কালাপানিয়া, মোহাম্মদ হেলাল যুগ্ম আহ্বায়ক যুবদল কালাপানিয়া। মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বসু, মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মোহাম্মদ মনির সেক্রেটারি মাস্টার কামাল উদ্দিন স্মৃতি সংসদ,মোহাম্মদ ইকবাল স্বাস্থ্য সহকারি, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মোহাম্মদ পারভেজ সমাজ কর্মি, প্রবাসী মোহাম্মদ মামুন,সহ কর্মসূচির বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেছেন, কিশোর-কিশোরীদের চিন্তার বিকাশ ও তাদের অগ্রসরতাকে সফল করার জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সমৃদ্ধি কর্মসুচী এগিয়ে এসেছে । এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য আমরা এ কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি, কিশোর-কিশোরীদের জীবনমানের উন্নয়নে এই ধরনের আয়োজন বেশি বেশি করে করা উচিত। কৈশোরকাল মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময় কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। কিন্ত সঠিক জ্ঞানের অভাবে তাদের প্রয়োজন জীবনদক্ষতা বৃদ্ধির ওপর প্রশিক্ষণ। বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, যৌতুক, লিঙ্গবৈষম্য, নারীর প্রতি সহিংসতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে ইত্যাদি সমাজের নেতিবাচক বিষয়গুলো প্রতিরোধে দক্ষতা বৃদ্ধির শিক্ষা দেওয়া হয় এ ধরনের উদ্যোগকে জীবনমান উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। তাই পুরো দেশকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেখতে হলে সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে আরও তৎপর হতে হবে। উল্লেখ্য, বরাবরই ‘সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় সব বয়সী মানুষদের বিনোদন মুখী করতে এবং কিশোর-কিশোরীদেরকে নিয়ে “কৈশোর মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান” উৎসব মুখর পরিবেশে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়।
আলোচনা সভা শেষে বিকেল বেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ পত্র বিতরণ করা হয়। ।