ডার্ক মোড
Tuesday, 26 November 2024
ePaper   
Logo
শ্রম সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র

শ্রম সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্কিন প্রশাসনের প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রোডম্যাপ এবং শ্রম কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসন শ্রম সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার বিষয়ে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমবিষয়ক ব্যুরোর আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ক্যালি ফে রডরিগেজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা দেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মার্কিন প্রতিনিধিকে জানান, শ্রম সংস্কার প্রধান উপদেষ্টার অন্যতম অগ্রাধিকার। সচিব অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ১৮ দফা দাবিতে চুক্তি, বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধন, শ্রম সংক্রান্ত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা কমিটি গঠনসহ অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকটি সংস্কার উদ্যোগ তুলে ধরেন।
বৈঠকে ডিপার্টমেন্ট অব লেবার বিভাগের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি ছিলেন।

মার্কিন প্রতিনিধিদল স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জিত অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তারা সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন এবং অবশিষ্ট শ্রম সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধিদল ১৮ দফা চুক্তির প্রশংসা করেন, বিশেষ করে মালিক ও কর্মচারীদের একত্রিত করার প্রসঙ্গটি, যার ফলে শ্রমিকদের কথা শোনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বৈঠকে বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা ন্যায্য মজুরি নির্ধারণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এবং উচ্চ পর্যায়ের পণ্যের বৈশ্বিক বাজার ধরতে দক্ষ শ্রম গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ প্রতিনিধিদল গত ২২ নভেম্বর ঢাকা সফরে আসেন। সফরকালে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, শ্রম উপদেষ্টাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং তির পোশাক খাতের উৎপাদনকারী এবং শ্রমিক ইউনিয়ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ সোমবার প্রতিনিধিদলের সফরের সমাপ্তি হয়েছে।

মার্কিন প্রতিনিধিদলের এ সফরের কারণ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ সফর তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রকাশ, বাংলাদেশের অর্থনীতির মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো বোঝা এবং অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন