
শেরপুরে ধর্ষককে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছাড়িয়ে নিলেন বিএনপি নেতা
শেরপুর সংবাদদাতা
শেরপুরের নালিতাবাড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে এক যুবতী (২৫)কে ধর্ষনের অভিযোগে আটক যুবককে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন ফারুক আহমেদ নামে এক বিএনপি নেতা। বৃহস্প্রতিবার (২৬ জুন) রাতে উপজেলার পুড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ফারুক আহমেদ পুড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত দুই মাস পুর্বে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী (২৫) বারমারি বাজারে আসে। তার পরিচয় কেউ জানে না। বাজারের বিভিন্ন দোকানের বারান্দায় রাত যাপন করে আসছিল।বাজারেরবাসিন্দারা জানান ব্যবসায়ীরা অনেকেই ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে খাবার দিতো। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টায় জালাল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক বাজারে এসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। এ সময় বাজারের পাহারাদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জালাল মিয়াকে হাতে নাতে আটক করে। গ্রামবাসীরা ধর্ষক জামাল মিয়া কে পুলিশে দিতে চায়। এসময় পুড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ এসে ধর্ষককে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে জানান বাজারের ব্যবসায়ীরা ।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ফারুক আহমেদ ধর্ষককে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছাড়িয়ে আনার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন জালাল মিয়াকে যে কোন সময় পাওয়া যাবে। জালাল মিয়া পার্শ্ববর্তী কালাপানি গ্রামের জনু মিয়ার ছেলে। অভিযোগ রয়েছে জালাল মিয়া এলাকায় একাধিক শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু অর্থশালী হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়নি। বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ শনিবার রাতে ধর্ষিতা যুবতীকে থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার ধর্ষিতা যুবতীকে পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।