রাশিয়ায় উ. কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েন, নিশ্চিত করল পেন্টাগন-ন্যাটো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তর কোরিয়া প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় প্রায় ১০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। সোমবার পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং ও ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।
যদিও গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ৩ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে বলে জানানো হয়েছিল। সাবরিনা সিং বলেছেন, ‘‘আমরা ধারণা করছি, পূর্ব রাশিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য উত্তর কোরিয়া প্রায় ১০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সঙ্গে এই সৈন্যদের মোতায়েন করা হতে পারে।’’
এদিকে, একই দিনে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সৈন্য পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার সামরিক ইউনিটকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা মিত্রদেরকে ইউক্রেনে আরও বেশি অস্ত্র সরবরাহ ও রাশিয়ার গভীরে হামলা চালানোর অনুমতি চেয়েছে কিয়েভ। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি সোমবার ন্যাটো জোটের কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের অবগত করেছে। এর পরপরই রুটে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতা ইন্দো-প্যাসিফিক এবং ইউরো-আটলান্টিক—উভয়ের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলও রুটে এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সাথে টেলিফোন বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভন ডার লিয়েনকে ইউন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন প্রত্যাশার চেয়ে তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে।
যদিও মস্কো এবং পিয়ংইয়ং সৈন্য স্থানান্তরের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে উভয় দেশই সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে। গত জুনে দুই দেশের মাঝে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। উত্তর কোরিয়ার সৈন্য প্রেরণের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবিকে ‘‘ভুয়া খবর’’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।