ডার্ক মোড
Tuesday, 22 April 2025
ePaper   
Logo
মামলা প্রক্রিয়ায় বিলম্বরোধে সিপিসিতে সংশোধনের অনুমোদন

মামলা প্রক্রিয়ায় বিলম্বরোধে সিপিসিতে সংশোধনের অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার

দেশে ব্রিটিশ সরকারের সময়ে প্রণীত দেওয়ানি কার্যবিধিতে (সিপিসি) কিছু কিছু সংশোধনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্বরোধে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এরআগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রিজওয়ানা বলেন, ‘বৈঠকে আজকের যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে, তার মধ্যে দুটো সিদ্ধান্ত দুটো কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়নের উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, আমাদের বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, আমাদের দেওয়ানি কার্যবিধিতে (সিপিসি) কিছু কিছু পরিবর্তন আনতে সুপারিশ করেছিল। সেই আলোকে আমরা সেই ব্রিটিশ সরকারের সময়ে প্রণীত সিপিসিতে কিছু কিছু সংশোধন আজকে নীতিগত অনুমোদন করতে পেরেছি।’

‘বাংলাদেশ একটি কথা আছে, কারও সাথে শত্রুতা করতে গেলে একটি ভূমি মামলাজুড়ে দাও। তাহলে তিন প্রজন্মে সেই মামলা শেষ হবে না। সেই তিন প্রজন্ম যাতে না লাগে, এক প্রজন্মেই যাতে মামলা শেষ করা যায়, সে জন্য দেওয়ানি কার্যবিধিতে (সিপিসি) কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে, যাতে করে যারা বিচারপ্রার্থী, তাদের সময় কম লাগে, টাকা কম লাগে,’ বলেন এই উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা উকিল আছি, তারা নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় সময় নিয়ে মামলার প্রক্রিয়ার বিলম্ব করি। ভবিষ্যতে সেটা যাতে না হয়, তেমন কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। কয়েকটা উদহারণ দিচ্ছি, আগে যেটা হতো, একটি মামলার রায় হওয়ার পরে আবার জারি মোকদ্দমা করতে হতো মামলার রায় বাস্তবায়নের জন্য। এখন বলা হচ্ছে, তখন রায় দেওয়া হবে, সেই রায়ের মধ্যেই কার্যকরের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হবে।’

‘আমাদের অনেক কাজ এখনো সেকেল রয়ে গেছে। বিচার কাজ আধুনিকায়ন করতে আমরা সমন জারিটা এখন থেকে টেলিফোন কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে বা অন্য মডেলের যে ডিভাইস ও ম্যাথড আছে, তার মাধ্যমে করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আর ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য ভুয়া মামলায় আগে সাজা ছিল ২০ হাজার টাকা, এখন সেটা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে।’

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন