
বিশ্ব বদলাতে শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন দেখার আহ্বান ইউনূসের
স্টাফ রিপোর্টার
বিশ্বকে বদলে দিতে শিক্ষার্থীদের বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। বাস
বাসস জানিয়েছে, শনিবার বেইজিংয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেছেন চীন সফররত ইউনূস।
তিনি বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু মাত্র শেখার জায়গা নয়, এটি স্বপ্ন দেখারও জায়গা।"
স্বপ্ন দেখতে পারার ক্ষমতা পৃথিবীর 'সবচেয়ে বড় শক্তি' বর্ণনা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন, তবে তা ঘটবেই। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন, তবে তা কখনও ঘটবে না।"
বক্তব্য রাখার আগে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা, তারপর তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।
বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের তাদের জীবনের অতীতের দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ইউনূস।
তিনি বলেন, “যা কিছু ঘটেছে, কেউ না কেউ আগে তা কল্পনা করেছিল! কল্পনা যে কোনো কিছু থেকে বেশি শক্তিশালী।"
তিনি শিক্ষার্থীদের অকল্পনীয় বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেন।
“মানবসভ্যতার যাত্রা হল অসম্ভবকে সম্ভব করা। সেটাই আমাদের কাজ। আর আমরাই তা করতে পারি।"
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের সভাপতি হে গুয়াংচাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট গং চিহুয়াং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
চার দিনের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে বুধবার থেকে চীনে রয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
শি-এর সঙ্গে বৈঠকের পর মুহাম্মদ ইউনূস প্রেসিডেন্সিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশ নেন।
ইউনূসের এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেছেন, “দুই দেশ ব্যাপক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেছে, যা অনেক ইতিবাচক ফলাফল এনেছে। চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি বাড়ছে। আমাদের শিল্প-ব্যবহারের বেশিরভাগ পণ্য আসে চীন থেকে।”
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইউনূস দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিপূরকতা এবং তাদের বিশাল সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। তিনি আশা করেন, আরও চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে একত্রে একটি ‘বৃহত্তর বাজার উন্মুক্ত’ করবেন।“
সফর শেষে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
