ডার্ক মোড
Thursday, 05 December 2024
ePaper   
Logo
বিরামপুরে ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বিরামপুরে ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

কম সময়ে অধিক লাভের আশায় অল্প পুঁজিতে ভুট্টা চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ভুট্টা চাষীরা। ভুট্টার জমিতে সবুজ পাতার ফাঁকে আসতে শুরু করেছে ফুল ও ভুট্টার মোচা। এই দেখে ভুট্টা চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসি। ভূট্টা চাষীদের স্বপ্প এবং আশা, সরকারী সহযোগিতা পেয়ে বিরামপুরের চাষীদের চাষ করা ভূট্টা তারা বর্হিবিশ্বে রপ্তানী করবে।

ভুট্টা যেমন মানুষের জন্য পুষ্টিকর তেমনি পোল্ট্রি ও মাছের খাবারসহ বিভিন্ন খাবারে যুক্ত হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সব ধরনের কৃষি জমিতে ভুট্টা চাষ এনে দিয়েছে নতুন গতি। আবার ভুট্টা চাষের সাথে একই জমিতে আলু, টমেটো অথবা যেকোনো ধরনের সবজি চাষেও বাড়তি অর্থ পাচ্ছেন চাষীরা।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভুট্টা চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় অল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৬৫০ হেক্টর। ভুট্টা চাষ লাভজনক ও বাজারে দাম বেশি হওয়ায় চলতি মৌসুমে ভূট্টার চাষ
বেড়েছে।

জানা যায়, প্রতিবিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সেচ, সার ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৮শ থেকে ১১শ টাকা। এতে অল্প পুঁজিতে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৩ হাজার টাকা লাভ হয়।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় সব জায়গায় কৃষকের বিস্তির্ণ ফসলের মাঠ এখন ভুট্টা ক্ষেত গুলোর পরিচর্যা ও নিড়ানী এবং সেচ কাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত চাষীরা।

গাছগুলো হাঁটু সমান আর কিছু এলাকায় আগাম ভুট্টা রোপণ করায় গাছ মানুষের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং কোথাও কোথাও গাছে মোচা এসেছে। এসব ভূট্টা আগাম ঘরে তোলা যাবে। উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বেপারীটোলা গ্রামের হাছান আলী বলেন, বোরো চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠে না। কিন্তু ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম, দামও বেশি থাকে বলেই আমি ভুট্টা চাষ করেছি।

খয়েরপাড়া গ্রামের চাষী মামুনুর রশিদ জানায়, আমি ৬০ শতাংশ জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি, ভূট্টার পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আলু চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে আলু তোলা শুরু করব। আশা করছি ভূট্টার ফলনও সন্তোষজনক হবে।

উপজেলার সারাংঙ্গপুর গ্রামের রায়হান কবির চপল বলেন, চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। দামও ভালো পাওয়া যায়। একটু দেরীতে বিক্রি করলে মণে ২-৩শ টাকা বেশি পাওয়া যায়।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, চলতি বছরে সিনজেন্টা, কাবেরী, ডনসহ আরও অন্যান্য জাতের ভুট্টার চাষ ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন