
বান্দরবানে খেয়াং নারীর মৃত্যু: রহস্য উৎঘাটনে কাজ করছে পুলিশ
সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান,
বান্দরবানের থানচি উপজেলার দূর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নে জুমে কাজ করতে গিয়ে নিহত হওয়া চিংমা খেয়াং (২৯) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ময়না তদন্তের
জন্য থানচি থেকে লাশ বান্দরবান সদর থানায় আনা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরে ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায়নি, তবে মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে বলে বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিলনায়তনে প্রেস কনফারেন্স এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার। এসময় জেলা প্রশাসক
শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.আবু তালেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ধসঢ়;) মো. আবদুল করিম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম
বাচ্চুসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে নিহত চিংমা খেয়াং এর লাশ উদ্ধার
করে। মৃত্যুর কারণ উৎঘাটনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করে
ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। আশা করছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে মৃত্যুর কারণ বের করার পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো। এসময় তিনি আরো বলেন, এই মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিভ্রান্তি না ছড়ানোর সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।উল্লেখ্য, প্রতিদিনের মত গেল সোমবার ভোরে নিজের বাগানে জুমের কাজ করতে যান মংখয় পাড়ার বাসিন্দা চিং মা খেয়াং। কিন্তু দুপুরে পেরিয়ে গেলেও বাড়ী ফিরে না আসায় স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে জুম ক্ষেতের ৪০ গজ দূরে একটি ঝিরিতে তার লাশ দেখতে পান তারা। স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে খবর পেয়ে
ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুমন খেয়াং বাদী হয়ে থানচি থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে
জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। পাহাড়ী সংগঠন গুলোর অভিযোগ চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত চিংমা খেয়াং ৩ সন্তান রয়েছে।