ডার্ক মোড
Friday, 27 June 2025
ePaper   
Logo
বাউফলে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাউফলে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাউফল (পটুয়াখালী)  প্রতিনিধি
 
উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায়  টুয়াখালীর বাউফলের উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে   মাদ্রাসার বারান্দায়  শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত  শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে  একাত্মতা ঘোষণা করে সুপারের নানা অনিয়মের বিচার দাবি করেন।
মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী  আরাফাত জানায়, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট না হলেও ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদ নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসে তার ছেলে ইমরান হোসেনকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে থাকেন। উপবৃত্তির জন্য খরচ করতে হবে বলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ৫শ' করে টাকা আদায় করেন। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরকারি উপবৃত্তির চলতি কিস্তির টাকা পেলেও তাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কোন টাকা পায়নি। 
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৯ম শ্রেণির রাবেয়া বেগম, ১০ম শ্রেণির নুসরাত, রুপা, ৭ম শ্রেণির আব্দুল্লাহ সহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যুৎ বিল, পরীক্ষার ফি, স্কাউট ফি সহ বিভিন্ন অযুহাতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব থাকায় তাদের কথা কেউ শুনছেন না। নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা না করায় গত বছর দাখিলে কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। কোন বিষয় বলতে গেলে সুপারের ছেলে ইমরানের ভয়ে চুপ থাকতে হয়। ভয়ভিতি দেখায় সে। শিক্ষামুলক কোন ধরণের কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হয় না। তারা আরও জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার ও তার ছেলে অন্য মতাবলম্বী হওয়ায় সম্প্রতি আলোচিত উপজেলা ব্যাপি জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের দেয়া কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা সভাতেও তাদেরকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিচার দাবী করে অন্যত্র ভর্তির জন্য তাদের টিসি চায়। 
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সহসুপার মাসুম বিল্লাহসহ কয়েকজন জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের মর্জি মাফিক তার ছেলেকে দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তারা অনেকেই অসহায়। উর্ধতন কর্তিপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না।
এ বিষয়ে সুপারের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদেরকে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন