ফটিকছড়ি মৎস্য অফিসে ছয়জনের স্থলে আছে একজন
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। ছয় জন কর্কর্তার পদে আছে মাত্র একজন। দীর্ঘদিন জনবল সংকট থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে কার্যালয়টি।
জানা যায়, গত সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ ক্ষেত্র সহকারী পদের ১ জন বদলিজনিত কারণে চলে যায়। এতে একা হয়ে পড়েন গত মে মাসে যোগদান করা জৈষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম। তাঁর কাঁধে ভর দিয়ে চলছে জেলার মধ্যে জনসংখ্যায় ও আয়তনে সর্ববৃহৎ ফটিকছড়ি উপজেলার মৎস্য অফিসটি।
মৎস্য কার্যালয়ের হিসাব মতে, উপজেলাতে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১ হাজার ১১৬ জন। মৎস্যচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেন বিভিন্ন জলাশয়/পুকুরে। ১ হাজার ১৪৫ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্প, তেলাপিয়া, কৈ, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস মাছের চাষ থেকে ৫ হাজার ৫৮১ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হয়।
এছাড়া গেজেট ভুক্ত ১ টি খাল থাকলেও উপজেলায় ২০ টির অধিক খাল/ ছড়া রয়েছে। রয়েছে একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীও। মৎস্য অফিস বলছে, এসব কাজের সঠিক তদারকি ও তথ্য নিরূপণে পর্যাপ্ত জনবল ও প্রজেক্টের দরকার পড়ে। কিন্তু দুইটিতেই রয়েছে সংকট।
অফিস সূত্রে জানা যায়, এ দপ্তরে অনুমোদিত পদ সংখ্যা হলো ৬টি। বর্তমানে কর্মরত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা একজন। এছাড়া সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারি, অফিস সহকারি ও অফিস সহায়ক পদের ৫ টি পদই শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন এ পদগুলোতে লোকবল না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে অসুবিধা হচ্ছে। দপ্তরটি তালা খোলা থেকে পতাকা উত্তোলনসহ সকল কাজ মৎস্য কর্মকর্তা নিজেকেই সামাল দিতে হয়। ফলে সময় মতো কাজগুলো করতে বেকায়দায় পড়তে হয় তাঁকে।
উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, একটা জেলার সমান ফটিকছড়ি উপজেলায় জনবল সবচেয়ে কম। যা অত্যন্ত দু:খজনক। ফিল্ডে, ট্রেনিং এ, কিংবা মাসিক মিটিং এ গেলে অফিস বন্ধ থাকে। ৬ জনের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। ফলে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। তিনি যথেষ্ট উদ্বীগ্ন। জনবল সংকট নিরসনে মৎস্য অধিদপ্তরকে অবহিত করেছেন। আশা করছি অতিদ্রুত এর সুরাহা হবে।