ডার্ক মোড
Sunday, 22 June 2025
ePaper   
Logo
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিনিধি

একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন একটি প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়টি মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ হবে দুটি। তিনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’

‘এখন বার ও মেয়াদ নিয়ে একটি সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে। মেয়াদ বলতে পূর্ণ পাঁচ বছর কিংবা সংসদ যতদিন আছে, সেটি বোঝায়। আর দুবার বলতে বোঝায়, একই মেয়াদের মধ্যে দুবার হতে পারে। এমন একটি সমস্যার জায়গা থেকে আলোচনাটি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বছর দিয়ে ঠিক করার একটি প্রস্তাব এসেছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এই প্রস্তাব আসার পর পারস্পরিক আলোচনার জন্য সময় নেওয়ার কথা বলেছি। সেই সময় দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেটি অনুমোদন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও সেটি নিয়ে আলোচনা করেছে।’

‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে সর্বোচ্চ দশ বছর একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে তিনটি দল থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব আছে। সেইসব প্রস্তাবসহ আরও অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়াদি নিয়ে, যেমন: সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও সরাসরি নির্বাচনের প্রশ্ন, সাংবিধানিক পদগুলোতে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন ও ক্ষমতার পরিধি, দুই কক্ষের মধ্যে ভারসাম্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য—এসব প্রশ্ন নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, কিছু বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে।’

গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আবার বসা হবে।’

‘তবে এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা একটি অধিকতর ঐক্যের দিকে যাচ্ছি। আমরা যদি আরও ঐক্যের দিকে আসতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন যথার্থভাবে এগিয়ে যাবে।’

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন