পাকিস্তানে নিষিদ্ধ উইকিপিডিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনপ্রিয় বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া। পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ) উইকিপিডিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক’ কন্টেন্ট সরানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এগুলো না সরানোয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
উইকিপিডিয়া একটি ফ্রি ও সম্পাদনযোগ্য অনলাইন বিশ্বকোষ। সাধারণ জ্ঞানের জন্য বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ উইকিপিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘বিতর্কিত কন্টেন্ট’ না সরানোয় পাকিস্তানে উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পিটিএ জানিয়েছে, উইকিপিডিয়া তাদের নির্দেশনার কোনো জবাব দেয়নি এবং কন্টেন্টও সরায়নি।
সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের সঙ্গে পিটিএ-এর মুখপাত্র মালাহাত ওবাইদ বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে নির্দেশনা না মানায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করা হবে যদি নির্দিষ্ট ওই কন্টেন্টগুলো মুছে দেওয়া হয়।’
শনিবার পাকিস্তানে উইকিপিডিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দায় ‘এই সাইটে প্রবেশ করা সম্ভব নয়’ লেখাটি ভেসে উঠেছে।
উইকিপিডিয়ার পরিচালক সংস্থা উইকিমিডিয়া গতকাল শুক্রবার জানায়, উইকিপিডিয়ায় কি ধরনের কন্টেন্ট যুক্ত করা হয় এ নিয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না।
উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ হওয়ার আগে উইকিমিডিয়া সতর্কতা দিয়ে বলেছিল, ‘আমরা বিশ্বাস করি তথ্য পাওয়া একটি মানবাধিকার। পাকিস্তানে উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ মানে বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশের জনগণকে বিনামূল্যে তথ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা। যদি এমনটি চলতে থাকে তালে এটি সবাইকে পাকিস্তানের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করবে।
‘হাস্যকর’
নিষিদ্ধ করার ৪৮ ঘণ্টা আগে পাকিস্তানে উইকিপিডিয়ার অ্যাক্সেস সীমিত করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর এটি নিষিদ্ধ করা দেওয়া হয়। এ নিষেধাজ্ঞার পর উসমান খিলজি নামের একজন ডিজিটাল অধিকারকর্মী এবং কলামিস্ট বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘পিটিএ এবং আদালতকে বুঝতে হবে উইকিপিডিয়া হলো এমন একটি সাইট যেখানে যে কেউ আর্টিকেল সংশোধন বা পরিবর্তন করতে পারেন। তাই পুরো উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ করার বদলে তারাই ওই আর্টিকেলগুলো সংশোধন বা মুছে দিতে পারত।’
সূত্র: দ্য ডন