ডার্ক মোড
Thursday, 05 December 2024
ePaper   
Logo
পাকশী রেলওয়ের এএমই গোলাম মোস্তফার নারী কেলেংকারীর অভিযোগ

পাকশী রেলওয়ের এএমই গোলাম মোস্তফার নারী কেলেংকারীর অভিযোগ

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি

রেলওয়ে পাকশী বিভাগের এএমই/ওপিএন্ড এফ গোলাম মোস্তফা পারবর্তীপুরের রানিংরুমে অবস্থানকালে রেলওয়ের এক নারী স্টাফের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ধরা পড়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। স্থানীয়দের হাতে অনৈতিক অব্স্থায় ধরা পড়ার পর গোলাম মোস্তফা ও ঐ নারী স্টাফকে আটক করার পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।

পরে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিদের মধ্যস্ততায় প্রায় নয় লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হলেও নারী কেলেংকারীর বিষয়টি রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় অফিসের কর্মচারিদের মুখে মুখে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত এগারো দিন থেকে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় অফিস,পারবর্তীপুর অফিস এমনকি রেলওয়ের রাজশাহীস্থ পশ্চিমাঞ্চল অফিসেও বিষয়টি নিয়ে কানাঘোসা শুরু হয়। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্তৃক এধরণের অনৈতিক কাজে জড়ানোর কারণে গোটা রেলওয়ের সাথে জড়িতদের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় গোলাম মোস্তফার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে ঐসব কর্মচারীদের পক্ষ থেকে । রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বিভিন্ন অফিস,পারবর্তীপুর অফিস ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একাধিক অফিসে কর্মরত ডজন খানেক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসবতথ্য জানাগেছে।

সুত্রমতে, রেলওয়ে পাকশী বিভাগের এএমই/ওপিএন্ড এফ গোলাম মোস্তফাকে সম্প্রতি পারবর্তীপুরের এএমই/লোকো পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়ে তিনি পারবর্তীপুর অবস্থান করা শুরু করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি রেলওয়ের রেষ্ট হাউজে অবস্থান না করে বসবাসের অযোগ্য জরাজীর্ণ রানিং রুমে থাকা শুরু করেন। সেখানে থাকা অবস্থায় একজন বয়স্ক নারীর সাথে অনৈতিক কাজ চালাতে থাকেন।

বিষয়টি এলাকার দু’চারজন ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তাদের মধ্যে কানাঘোসা শুরু হয়। এরই মধ্যে গোলাম মোস্তাফা ঐ বয়স্ক মহিলার মাধ্যমে তার ননদ রেলওয়ের জনৈকা স্টাফের সাথেও ঐ রানিংরুমে অনৈতিক কাজ চালাতে থাকেন। এ বিষয়টিও মানুষের মধ্যে কানাঘোসা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গত ১২ অক্টোবর ইং তারিখ শনিবার রাতে এলাকাবাসী ঐ রেলওয়ে নারী স্টাফের সাথে গোলাম মোস্তফাকে অনৈতিককাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতে নাতে ধরে আটক করে রাখে। পরে অনেক চেষ্টা ও কয়েক ব্যক্তির মধ্যস্ততায় প্রায় নয় লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি ছাড়া পান।

ঘটনার পরপরই তার নারী কেলেংকারীর বিষয়টি ঈশ^রদী লোকোসেড,পাকশী বিভাগীয় অফিস,পারবর্তীপুর অফিস ও রাজশাহীর পশ্চিমাঞ্চল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নারী কেলেংকারীতে আটক হয়ে নয় লাখ টাকার বিনিময়ে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে জানার জন্য ঘটনার দিন থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত রেলওয়ে পাকশী বিভাগের এএমই/ওপিএন্ড এফ পাকশী গোলাম মোস্তফাকে তার মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এসব অভিযোগের বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় মেকানিক্যাল প্রকৌশলী লোকো আশিষ কুমারের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি এএমই/ওপিএন্ড এফ পাকশী গোলাম মোস্তফার নারী কেলেংকারীর বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন