
পাঁচদিনের পতনে পর্যুদস্ত পুঁজিবাজার, কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের সব সূচক
স্টাফ রিপোর্টার
গত কয়দিনের মতো সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসেও সূচকের পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে; কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের সব সূচক, বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১৬ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে ৬৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৯৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এ, বি ও জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ২১৯ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৬৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৪ কোম্পানির ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। ফাইন ফুড সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। ডিএসইতে সারাদিনে ২৬৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২৭২ কোটি টাকা।
৮.৭৩ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে হাইডেলবার্গ মেটারিয়ালস বাংলাদেশ এবং ৯.৮০ শতাংশ দাম কমে তলানিতে এনআরবি ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতনের ধারা বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ১৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৯৪ কোম্পানির মধ্যে ৩৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১০ কোটি টাকা। ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ৯.৮৪ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড।