
পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
স্টাফ রিপোর্টার
টানা তিন কার্যদিবসেই পতনের সাক্ষী হলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই বাজারেই কমেছে সূচক, পড়ে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। কমেছে বাকি দুই সূচকও; শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৭ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
ক্ষুদ্র ও মধ্যম ধাচের কোম্পানিগুলোর এসএমই সূচকও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ডিএসএমইএক্স সূচক হারিয়েছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসই'র প্রধান সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। যা তিন দিনে দফায় দফায় কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ, সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও বিপরীতে দাম কমেছে ২১২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৭ কোম্পানির, ৭ কোম্পানির ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ডিএসই'র ব্লক মার্কেটে ২২ কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এসিআই লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
নিম্নমুখী সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনের লেনদেনে ৩৯৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে দেশ জেনারেল ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ দাম কমে তলানিতে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কমেছে সূচকের পরিমাণ। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির এবং বেড়েছে ৬২ কোম্পানির। ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। সারাদিন ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে—যা গতদিন ছিল ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ইস্টার্ন ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।