ডার্ক মোড
Saturday, 16 November 2024
ePaper   
Logo
নারায়ণগঞ্জে শিল্পপতি জসিমকে হত্যার পর ১১ টুকরো করার বর্ণনা দিল দুই নারী

নারায়ণগঞ্জে শিল্পপতি জসিমকে হত্যার পর ১১ টুকরো করার বর্ণনা দিল দুই নারী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিম জসিম উদ্দিন মাসুমকে হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তার কথিত প্রেমিকা রুমা আক্তার ও তার বান্ধবী রুকু আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হায়দার আলী। স্বেচ্ছায় এবং অকপটেই হত্যাকান্ডের সকল তথ্য বিজ্ঞ বিচারকের খাস কামরায় স্বীকার করেন রুমা ও রুকু ।

১১ টুকরা করে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমকে হত্যা ও লাশ ফেলে দিতে রুমাকে সহায়তা করে তারই বান্ধবী মডেল রুকু । এমন ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খান।

পরকীয়া প্রেমিকা রুমা ও তার বন্ধবী রুকু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করেন।

আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচলের লেক থেকে বুধবার (১৩ নভেম্বর) তিনটি পলিথিনে মোড়ানো মাসুমের সাত (৭) টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা।

শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যাকান্ডের ঘটনায় কাফরুল থেকে রুমা, রুকুসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরে রূপগঞ্জ থানায় হওয়া হত্যা মামলায় থেকে রুমা ও রুকু গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

নির্মম এমন হত্যাকান্ডের মামলায় তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একজন পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, হত্যার পর কাফরুলের বাসায় ছিলেন রুমা। কোন ধরনের টেনশন ছাড়াই চলাফেরা ও ঘুমাতে থাকেন রুমা। বুধবার রাতে পুলিশ তাকে ঘুম থেকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনার সবকিছুই অকপটে স্বীকার করেন রুমা।

রুমার দাবি, কাফরুলের তিনটি কক্ষের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে তার ছোট বোন, বান্ধবী, ভাবী ও তার বাচ্চা বসবাস করেন। এই বাসায় আসার পর জসিম উদ্দিন মাসুমকে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করা হয়। অচেতন অবস্থায় দুই দিন থাকার পর মঙ্গলবার একটি কক্ষের বাথরুমে নিয়ে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা করা হয় জসিম উদ্দিন মাসুমকে।

রুমার এক বন্ধুকে দিয়ে দুটি ব্যাগ নিয়ে আসার পর দুটি ব্যাগের ভিতরে সাত টুকরা রূপগঞ্জের একটি লেকের পাড়ে এবং অন্য চারটি অংশ ৩০০ ফিট এলাকায় একটি কাশবনে ফেলে দেয় রুমা। এরপর রুমার ভাষ্য মতে বৃহস্পতিবার রুমার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাশবন থেকে জসিম উদ্দিন মাসুমের দেহাংশের আরো চারটি টুকরা উদ্ধার করে পুলিশ।

হাত, পা ও কোমর থেকে বুকের খণ্ডিত অংশ ছিল পরবর্তী উদ্ধার হওয়া দেহাংশের। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, ব্লেড বনানীর ২০ নম্বর সড়কের একটি বাসায় রেখে আসেন রুমা। পরে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে চাপাতি, ব্লেড ও মাসুমের কিছু কাপড় চোপড় জব্দ করা হয়েছে। যার কিছুই তাদের এই ফ্ল্যাটের অন্যরা এমন লো্মহর্ষক বিষয়টি জানতেই পারে নাই। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুমার ভাষ্য, শিল্পপতি মাসুমের সঙ্গে তার।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন