ডার্ক মোড
Saturday, 22 March 2025
ePaper   
Logo
দোহারে পদ্মার বালু উত্তোলন নিয়ে আদালতের তদন্তের নির্দেশ

দোহারে পদ্মার বালু উত্তোলন নিয়ে আদালতের তদন্তের নির্দেশ

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি

দোহার উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু লুটের ঘটনার একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমলে নিয়ে ঢাকার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.জুনাইদ আহম্মেদ স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দোহার মিস মোকাদ্দমা নং-১/২৫, তাং-২১/৩/২৫ ইং।

দৈনিক সমকাল ও কালের কন্ঠ পত্রিকাসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় দোহারে পদ্মা নদী হতে প্রভাবশালীদের কর্তৃক অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে ’পদ্মা রক্ষা বেড়িবাধঁ’ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।প্রকাশে দোহারের জিরো পয়েন্ট নয়াবাড়ি ও আরঙ্গবাদ থেকে নারিশা পর্যন্ত পদ্মা নদীর দোহার সিমান্তে গড়ে ৭/৮টি বড়/ছোট ড্রেজার বসিয়ে রাত্রে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে।এতে হুমকিতে পড়েছে বেড়িবাধঁ ও আশপাশের জনবসতি।

নদীতীরবর্তী একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন- স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের ফেলে যাওয়া প্রায় ১০/১২টি ছোট/বড় ড্রেজারের মালিকানা নিয়েছেন বর্তমান উপজেলার বিএনপি’র নামধারী নেতৃবৃন্দরা। আর এই ড্রেজারগুলো রাতের বেলায় দোহার সিমান্তে বিশাল পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। বিষয়টি দেখার কেউ নেই।

উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তারা নৌ-পুলিশকে তাগিদ দেন।অপরদিকে নৌ-পুলিশ বলছে তাদের জলসিমানায় কোন ড্রেজার চলে না। তাছাড়া তারা আরও বলছে পদ্মার দোহার সিমান্তে সেনাবাহিনী বাধঁ দেখভালের দায়িতে রয়েছেন। এ সকল বিষয়ে আমলযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরও দোহার থানা কতৃপক্ষ কোন মামলা গ্রহন না করায় বিষয়টিতে আদালতের সরনাপন্ন হলে এক আদেশ দেন, যা আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ এ আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, দোহার উপজেলার পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন সংস্থা ঢাকাকে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে এক নির্দেশা জারী করেছেন।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রেজাইল করিম আদালতের আদেশের ঘটনা স্বীকার করে জানিয়েছেন এতে সব ধরনের সহযোগিতা তিনি করবেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন