
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ: বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আলোচনা
ডিউ কোর্সপোন্ডেড
ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি ধান্যা লিঙ্গেশ এবং হিউ কক সিয়াং উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদও অংশ নেন।
সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণায় যৌথ সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করা হয়। মি. মিচেল লি বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে অতিথিকে অবহিত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন এবং এর কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য মি. মিচেল লিকে ধন্যবাদ জানান।
পরে মি. মিচেল লি অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে “Making Friends and Staying Relevant: Singapore’s Foreign Policy Explained” শীর্ষক একটি বিশেষ বক্তৃতা দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বক্তব্য রাখেন এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা সভাপতিত্ব করেন।
বক্তৃতায় মি. মিচেল লি সিঙ্গাপুরের বৈদেশিক নীতি ও কূটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর বিশ্ব রাজনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেছে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রাণবন্ত অর্থনীতি, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা, বৈশ্বিক বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান এবং বিশ্বাসযোগ্য অংশীদারিত্ব। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর একযোগে কাজ করছে।
*সম্পাদিত সংস্করণ: সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পেশাদার ভাষায় উপস্থাপিত।*