জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের মূল্যায়ন জরুরি: ঢাবি উপাচার্য
ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার যেমন জরুরি, তেমনিভাবে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি।
১ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে জুলাই-আগস্টের শহীদ ও আহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক এবং শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ আব্দুল্লাহ আল তাহের, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন, শহীদ মোসলেম উদ্দিন, শহীদ মেরাজুল ইসলাম ও শহীদ মানিক মিয়ার স্বজনসহ আহত শিক্ষার্থীরা এতে বক্তব্য দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান স্বল্প সময়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। ছাত্রদের উপর বিশ্বাস রেখে আপামর জনগণ রাস্তায় নেমে আসায় এই আন্দোলনে দ্রæত সফলতা এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
স্মরণসভা শেষে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান গতকালের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে একটি গাছের চারা রোপণ করেন ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এর আগে গতকাল রবিবার দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।
এসময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।