চিনির গুদামের আগুন নিভল, শনিবার থেকে সরবরাহ
নিজস্ব প্রতিনিধি
উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাটিয়ে অবশেষে ৬৭ ঘণ্টা পর নিভল চট্টগ্রামের এস আলমের অপরিশোধিত সুগার মিলের গুদামের আগুন। শনিবার (৯ মার্চ) সার দেশে কারখানা থেকে চিনি সরবরাহ ফের শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালেই আগুন নিভে গেছে। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইনউদ্দীন ঘুরে দেখেন জ্বলে যাওয়া গুদাম।
তিনি বলেন, ‘বালি, লবণ ও পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। উন্নত প্রযুক্তি ‘লুফ সিক্সটি’ দিয়ে দ্রুত পানি ছিটিয়েছি। এছাড়া বুধবার (৬ মার্চ) রাত থেকে বিশেষ কৌশলে আমরা পানি ছিটিয়েছি।’
ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সুগার মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, তিন দিন ধরে জ্বললেও রক্ষা করা গেছে গুদামের ৮০ শতাংশ চিনি। শনিবার (৯ মার্চ) সারাদেশে এ কারখানার অন্যান্য গুদাম থেকে চিনি সরবরাহ শুরু হবে।
এস আলম গ্রুপের এমডি আক্তার হাসান বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার বিকেলেই ট্রাক দিয়ে কিছু চিনি সরবরাহ করবো। চিনি নিয়ে বাজারে কোন সমস্যা হবে না। রমজানে স্বাভাবিক থাকবে।’
এদিকে আগুন নিভে গেলেও কেমিক্যাল মিশ্রিত অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গলে নালা-নর্দমা দিয়ে বৃহস্পতিবারও কর্ণফুলী নদীতে পড়েছে। এতে মাছসহ জলজ প্রাণী ভেসে উঠতে দেখা গেছে। নদীর মাঝে মরে ভেসে উঠছে মণে মণে টেংরা পোয়াসহ নানা প্রজাতির মাছ।
এছাড়া গুদামের দেয়াল ফুটো করে লালচে দুষিত পানি রাস্তার ওপরে ফেলায় তৈরি হয়েছে জন ভোগান্তি।
সোমবার (৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামে এস আলমের কর্ণফুলীর সুগার মিলের অপরিশোধিত চিনির গুদামে আগুন লাগে।
সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: সিএমপি পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা জান্নাত, চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আবদুল মালেক, চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদফতরের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের প্রতিনিধি ও কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহির হোসেন।