বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক মিজানুর রহমানের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির  আহবায়ক স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২১জুন) সকাল সারে ১১ টায় উপজেলার কুমড়াখালী বাজারের মোড়ে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক মিজানুর রহমান তার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান অয়ন মেডিসিন কর্ণারে অবস্থানকালে হামলাকরে তাকে পেটানো হয়। আহত মিজানুর রহমান অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। এ নিয়ে আশে—পাশে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। 
ইতোমধ্যে প্রভাষক মিজানুর রহমানের উপড় হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৩ জুন ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি শুক্রবার প্রস্তুতিমুলক এক সভার আয়োজন করে। এ সময় কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক মিজানুর রহমানসহ একাধিক নেতা—কর্মি কর্মী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক স্বদেশ কুমার রায় সুব্রতের বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ব্যবহার করে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন, জমি দখল, মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবি করে দলের ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন। এতে তার প্রতি ক্ষুব্দ ও ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা করে।মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, আগামী কাউন্সিলে আমি স্বদেশ কুমার রায় সুব্রতের বিরুদ্ধে আমি সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় সুব্রত ও তার লোকজন নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমাকে  মেরে ফেলতে পারলেই তার পথ সুগম হয়। বিএনপি থেকে আমি তার স্থায়ীভাবে ববিস্কারের দাবি জানাচ্ছি।কাজিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আ: সালাম সিকদার বলেন,চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত ৫ আগষ্ট পরবতীর্ সময়ে কাজিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি ও মোশারেফ হোসেন ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেনের কুমড়াখালী বাজারের বসত ঘরে
ভাঙ্ধসঢ়;চুর চালিয়ে ও হুমকি দিয়ে ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন। তাছাড়া সাবেক ইউপি সদস্য সোনা মোল্লা, ফরিদ মৃধা, টিন ব্যবসায়ী দেলোায়ার
হোসেন, বিএনপি নেত্রী ভানু, জয়ন্ত ও আ: রব সিকদারের ঘরে তালা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে ঘরে উঠতে দেয়। একইভাবে ব্যবসায়ী কানাই কর্মকারের
বসত ঘর অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে ৮ লক্ষ টাকা হাতিযে নিযে যায়। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চাঁদাবাজীর অভিযোগ অস্বীকার করে কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত বলেন, অপহরনের ঘটনায় বৈঠককালে কথার কাটা নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরবতীর্তে সদস্য সচিবের সাথে হাতাহাতিতে তার জামা ছিড়ে যায়। ঘনাটি তেমন গুরুতর নয়।বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান বলেন, একটি অপহরণ কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেন নি। অভিযোগ দায়ের করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।