ডার্ক মোড
Sunday, 23 February 2025
ePaper   
Logo
আশাশুনির দয়ারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজে নজির বিহীন ধীরগতি

আশাশুনির দয়ারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজে নজির বিহীন ধীরগতি

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

আশাশুনি উপজেলা সদরের ৯৭ নং দয়ারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান কাজে চরম ধীরগতিতে স্কুল পরিচালনা কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। পিইডিপি-৪ প্রজেক্টের আওতায় বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ১ম ও ২য় তলায় ৪ টি কক্ষ এবং ৩ তলায় ১টি কক্ষ হবে।

কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৭৯২৮ টাকা। কাজ শুরুর কথা ছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই হিসাবে পুরাতন বিল্ডিং অপসারণ করে খুবই নিচু করে টিনসেড কক্ষে অস্থায়ী ঘর নির্মান করে ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে। অফিসসহ ৪ কক্ষ বিশিষ্ট মাথা ছুঁই ছৃঁই ঘরের মধ্যে কাপড়ের ও চাচের বেড়ার মধ্যে সংকীর্ণ পরিসরে আলো বাতাসের সংকটের মধ্যে শিক্ষার্থীরা বসে ক্লাশ করছে। ১৪০ জন ছাত্রছাত্রীর কলকাকলিতে ভরে থাকা স্কুলটি বর্তমানে মৃতপুরীর মত হতে চলেছে।

তা স্বত্তে¡ও ঠিকাদার গত ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে বেড খোড়া শুরু করেন। একবার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২৫ সালের ফেব্রæয়ারীতে বেজের কাজ শুরু করেন। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় মাত্র ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা বলা কঠিন। কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। আবার সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী জুন মাস পর্যন্ত। প্রকল্পের মেয়াদও শেষ হবে জুন মাসে। তখন এ কাজের পরিণতি কি হবে বলা মুশকিল বলে মন্তব্য করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা পারভিন।

স্কুলের অস্থায়ী ঘরের দুরাবস্থা, মাঠে ভবন নির্মান কাজের সরঞ্জাম এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধ নির্মান কাজের সামগ্রীতে ঠাসা। খেলার সুযোগ পড়ে থাক শিক্ষার্থীদের হাটা চলার পরিবেশ পর্যন্ত নেই। এব্যাপারে এলজিইডির আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য কুমার দেব জানান, কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে কাজের তৎপরতা বেশ ভাল। এখন ২৫/৩০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। জুনেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন