
আবেদ আলীর আইনি হস্তক্ষেপে এলজিইডি'র প্রকৌশলী নিয়োগে পিএসসি'র দুর্নীতি উন্মোচিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ও উপজেলা প্রকৌশলী পদে নিয়োগ নিয়ে পিএসসির দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নতুন মাত্রা পেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার অবসান ঘটাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে এলজিইডির প্রকৌশলী নিয়োগে পিএসসির সম্পৃক্ততায় দুর্নীতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র মতে, ২০০০ সালে বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৌশলীদের নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৎকালীন সরকার ২০০১ সালে একটি প্যানেল গঠন করে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। প্যানেল অনুযায়ী ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা আটকে যায় নানা আইনি জটিলতায়।
এমতাবস্থায়, আবেদ আলী নামের এক প্রকৌশলী হাইকোর্টে রিট করেন (নম্বর ৪৫২৮/২০১৫), যেখানে পিএসসির ভূমিকা ও এলজিইডির দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি মো. সেলিমের দ্বৈত বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি রায় দেন, যেখানে আদালত এলজিইডিকে ৮ জুলাই ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় আবেদনকারী প্রকৌশলীদের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা হলেও, আপিল বিভাগও রায় বহাল রাখে। রায়ে বলা হয়, আবেদনকারীদের শূন্যপদে নিয়োগের পর বাকী পদগুলো ৮ জুলাই ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পূরণ করা যাবে।রায়ের ফলে, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে পিএসসির অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং এলজিইডির অসততা স্পষ্ট হয়ে উঠে। অনেক প্রকৌশলী বছরের পর বছর ধরে হয়রানির শিকার হয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। এলজিইডির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে পিএসসির ঘনিষ্ঠ যোগসাজশে দুর্নীতির এ ঘটনা সামনে আসে।
এম আবেদ আলীর একক ও নিরলস প্রচেষ্টায় এই অন্যায়ের বিচার আদালতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা। রায় অনুযায়ী এখন এলজিইডিকে অবিলম্বে রায় বাস্তবায়ন করে প্রকৌশলীদের নিয়োগ কার্যকর করতে হবে।
প্রসঙ্গত , আদালতের রায়ে আরও বলা হয়, ‘‘We find substance in this rule, therefore, the rule is made absolute without any order as to costs…’’— যা এলজিইডি ও পিএসসির ভূমিকায় অসঙ্গতি স্পষ্ট করে।
