ডার্ক মোড
Saturday, 21 June 2025
ePaper   
Logo

"জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে" — শফিকুল ইসলাম মাসুদ

 

জবি সংবাদদাতা
 
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের ক্ষেত্রে শুধু দেশের নয়, সারা বিশ্বের জন্য একটি মডেল হবে— এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
 
শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে ভিন্নমতের ছাত্রনেতাদের ছাত্রলীগের কাছে অনুমতি নিতে হতো, এমনকি ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলেও হামলার শিকার হতে হতো। আজ আমরা সবাই একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছি, একই মঞ্চে শিবির, ছাত্রদল, অন্যান্য ছাত্র সংগঠন একত্রে বক্তব্য দিচ্ছে— এটা গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের বাস্তব উদাহরণ। এই পরিবর্তনের জন্য জবির শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই।”
 
তিনি আরও বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের নয়, বরং বিশ্বব্যাপী একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের মডেল হয়ে উঠবে।”
 
গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম যেমন কিছু সাংবাদিকের হাত ধরে হয়েছিল, তেমনি সেই সাংবাদিকরাই আবার ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছেন। একটি প্রশ্ন করে—‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা পাবে না, রাজাকারেরা পাবে?’—একজন সাংবাদিক শুধু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধেই দাঁড়াননি, বরং একটি নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছেন।”
 
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান— প্রতিটি পর্যায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সম্প্রতি দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে করা ব্যঙ্গচিত্র তিনি নিজেই শেয়ার করেছেন— এটা ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতার বড় দৃষ্টান্ত।”
 
জবিসাস সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন:
 
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি,
 
গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান,
 
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম,
 
ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ,
 
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন,
 
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী,
 
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ
 
 
অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক সহাবস্থান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন