ডার্ক মোড
Tuesday, 26 August 2025
ePaper   
Logo
সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ

সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ

সিলেট ব্যুরো

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভোলাগঞ্জের লুট হওয়া সব পাথর দেশের যেসব এলাকায় গেছে, সেখান থেকে ফেরত এনে সাত দিনের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আগের জায়গায় ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই সাদা পাথর লুটের ঘটনায় কি পরিমাণ আর্থিক ও পরিবেশগত ক্ষতি হয়েছে তা বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বিবাদীদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এসব আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট করা এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সেই সঙ্গে এলাকা সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী ওই এলাকায় ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া ঘোষণা করা হবে কি না এবং যারা পাথর লুট করে পরিবেশের ক্ষতি করেছেন তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ সচিব, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি, র‌্যাবসহ স্থানীয় প্রশাসনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, প্রশাসনের চোখের সামনে সাদা পাথর লুট করা হয়েছে এবং পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। আমরা পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে জনস্বার্থে রিট করি। সকালেই রিট করা হলে দুপুরে হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।

এদিকে, ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়ের করা আরেকটি রিটের শুনানি রবিবার (১৭ আগস্ট) ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মীর একেএম নূরুন নবী। গতকাল বুধবার আইনজীবী নূরুন নবী রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি, সাদা পাথর লুটের বিষয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা ব্যাখ্যা করতে একটি রুলও জারির আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের চোখে-আমলে দিনে-দুপুরে এসব পাথর তোলা হয়েছে এবং কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পাথর লুটের ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন