
ট্যাকেরঘাট নিলাদ্রীর ঘাটে বিদেশি মদসহ আটকের পর পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
সিলেট ব্যুরো
বিদেশি মদসহ আটকের পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত পর্যটন স্পট নিলাদ্রীর ঘাট থেকে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের নায়েকের বিরুদ্ধে।
ছেড়ে দেওয়া চিহ্নিত মাদক কারবারির নাম আব্দুল কাদির জিলানী। সে তাহিরপুরের সীমান্ত গ্রাম ট্যাকেরঘাটের লাকমার পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস আলীর ছেলে ও একাধিক মামলার আসামি।
অভিযুক্ত পুলিশের নায়েকের নাম লিপ্টু চন্দ্র দেব। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার ট্যাকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত আছেন।
সোমবার বিকেলে তাহিরপুরের ট্যাকেরঘাট এলাকায় বসবাসরত একাধিক বাসিন্দা জানান, উপজেলার ট্যাকেরঘাট নিলাদ্রীর ঘাটে বিদেশি মদ বিক্রয় করতে গিয়ে কয়েক বোতল বিদেশি মদ সহ থানার ট্যাকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক লিপ্টু চন্দ্র দেব, লাকমা সীমান্ত গ্রামের উসমানের ছেলে তার সাথে থাকা মোটরসাইকেল চালক ও সোর্স সোহেলকে নিয়ে রবিবার সন্ধায় পেশাদার মাদক কারবারি সীমান্তগ্রাম ট্যাকেরঘাট লাকমার আব্দুল কাদির জিলানীকে আটক করেন।
এদিকে নিলাদ্রীর ঘাটের অদুরে গিয়ে রফাদফার পর জিলানীকে ছেড়ে দেন পুলিশের নায়েক লিপ্টু ও তার সহযোগি মোটরসাইকেল চাল সোহেল।
উপজেলার ট্যাকেরঘাট সহ আশেপাশের এলাকার লোকজনের অভিযোগ , পুলিশ ক্যাম্পর নায়েক লিপ্টু সহ ক্যাম্পের কয়েকজন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল চালক সোহেল সীমান্ত এলাকার জিলানী সহ একাধিক মাদক কারবারির সাথে প্রকাশ্যে চলাফেরা করে সখ্যতা গড়ে তুলছেন।
সোমবার বিকেলে জানতে চাইলে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম ট্যাকেরঘাট লাকমার আব্দুল কাদির জিলানী ট্যাকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের নায়েব লিপ্টু চন্দ্র দেব ও গ্রামের মোটরসাইকেল চালক সোহেলকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনেন দাবি করে বলেন, আমি রবিবার বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ট্যাকেরঘাট নিলাদ্রী এলাকায় ছিলাম তবে মাদক সহ পুলিশ আমাকে আটক করেনি, আমি এখন মাদক কারবার করিনা।
থানায় পুর্বে কোন মাদক মামলা রয়েছে কি না? জানতে চাইলে জিলানী বলেন,থানায় একটি মাদকের মামলা ছিল সেই মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর ৬০ বোতল বিদেশি মদ-বিয়ার সহ থানা পুলিশ জিলানীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল।
উপজেলার সীমান্ত গ্রাম ট্যাকেরঘাট লাকমার উসমানের ছেলে মোটরসাইকেল চালক ও কথিত সোর্স সোহেলের বক্তব্য জানতে তার ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়।
তাহিরপুর থানার ট্যাকেরঘাট পুলিশ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক লিপ্টু চন্দ্র দেব অভিযোগ অস্বীকার করলেও তিনি জিলানীকে চিনেন দাবি করে বলেন, তার সাথে কয়েকদিন চলাফেরা করার পর স্থানীয় লোকজন মাদক কারবারি হিসাবে তার সমালোচনা করায় তার সাথে এখন আর চলাফেরা করিনা, তাকে মাদক সহ আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করছে । লিপ্টু আরো জানান, রবিবার গ্রেফতার অপর এক আসামি নিয়ে তিনি সন্ধার পর থানায় গিয়েছিলেন।
তাহিরপুর থানার ট্যাকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই পংকজ দাস বলেন,রবিবার সন্ধার পর এক আসামিকে নিয়ে নায়েক লিপ্টু থানায় গিয়েছিলেন,এর আগে-পড়ে লিপ্টু বা মোটরসাইকেল চালক সোহেল কি করেছে সে বিষয়ে আমার জান নেই।
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন