ডার্ক মোড
Tuesday, 26 August 2025
ePaper   
Logo
লাকসামে ঘরে ঘরে ভাইরাস রোগ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ

লাকসামে ঘরে ঘরে ভাইরাস রোগ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ

মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম, কুমিল্লা


গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের সকল শ্রেণি পেশার মানুষগুলো যেন সর্দি—জ¦র সহ নানান ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে জেলার বৃহত্তর লাকসাম উপজেলায় শ্রাবনের শেষ মুহুর্তে বৈরী আবহাওয়া, বর্ষাকালীন ও জলবায়ু পরিবর্তনে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে শত শত শিশু—কিশোর ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে জ¦র—সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বর্ষা জনিত বিভিন্ন ভাইরাস রোগে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের ঘরে ঘরে বর্ষাকালীন নানান ভাইরাস রোগ, সরকারী—বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে জানা যায় আবার বষার্কালীন নানান দূভোর্গের শিকার হয়ে ছিন্নমূল মানুষ, শিশু—কিশোর ও বৃদ্ধদের পোহাতে হচ্ছে বাড়তি দূভোর্গ। বষার্র তীব্রতা বৃদ্ধির কারনে এ অঞ্চলে বিভিন্ন ভাইরাস রোগ মারাত্মক ভাবে দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস পুরো শ্রাবন—ভাদ্র মাসকে একাধিক বৈরি আবহাওয়ার আভাস দিয়েছে এবং সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে পারে। গত ক’দিনের বৈরী আবহওয়ার ফলে ২৪ এর বন্যার তীব্রতা আরও বাড়বে বলে অভিমত তাদের। বর্তমান গ্রামীণ অর্থনৈতিক মন্থাভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতায় আর্থিক সংকট এবং মহামারী করোনা, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সহ নানান ভাইরাসে অনেকটা বিপাকে পড়েছে এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলো। স্থানীয় খেটে খাওয়া, দিনমুজুর ও ছিন্নমূল মানুষের জীবন যাত্রার উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
স্থানীয় ঔষধ বিক্রেতারা জানায়, বিগত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার তীব্রতায় এলাকার সর্বত্র জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন রোগ— ব্যাধি বেড়ে গেছে। শিশু—কিশোর ও বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এসব রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রতিদিন ভীড় করছে স্থানীয় ঔষধের দোকানগুলোতে। ঔষধ কেনা—বেচায় ব্যস্ত দোকানীরা। সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোতে সু—চিকিৎসা না পেয়ে পৌরশহরের প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষার নামে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারন মানুষগুলো। প্রচুর ডাক্তার থাকলেও পরিবেশ ও অব্যস্থাপনা দেখে রোগী ভর্তি না করিয়ে পৌর শহরের একাধিক প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে। সরকারী হাসপাতালে কোন উন্নত চিকিৎসা নাই বললেই চলে।
লাকসাম পৌরশহরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকের চিকিৎসক বোর্ডের সদস্য জানায়, বষার্কালীন ও বৈরি আবহাওয়া সাধারনতঃ শুস্ক থাকে। শুস্ক আবহাওয়া চতুর্দিকে উড়ে বেড়ায় হাজারো রোগ জীবানু। এগুলো শ্বাস—প্রশ্বাস এবং যেকোন কিছুর মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকে যে কোন সময় অসুস্থতা ঘটাতে পারে। বৈরি আবহাওয়ার দিনগুলোতে দূঃচিন্তা মুক্ত থাকা, ভীড় এড়িয়ে চলা, ভিটামিন সি জাতীয় ফল—মূল, শাকসবজি খাওয়া। এছাড়া বর্ষাকালীন নানান দুযোর্গের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে নিউরোপেপটাইড, স্কাইবিস ও বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। এদের মধ্যে শিশু— কিশোর ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশী।

 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন