ডার্ক মোড
Friday, 04 July 2025
ePaper   
Logo
মোংলা বন্দরে দুটি বড় মেগা প্রকল্পের মেশিনারিজ পণ্য খালাস

মোংলা বন্দরে দুটি বড় মেগা প্রকল্পের মেশিনারিজ পণ্য খালাস

সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি

বাগেরহাটে মোংলা বন্দর জেটিতে দেশের দুইটি বড় মেগা প্রকল্পের মেশিনারিজ পণ্য খালাস করা হচ্ছে । জাহাজ দুটিতে ৩ হাজার ৩১৯ মেট্রিক টন মেশিনারিজসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রয়েছে। এর মধ্য একটি হচ্ছে পাওয়ার গ্রিড আর অন্যটি রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল রয়েছে। এ জাহাজ দুটিতে ৩ হাজার ৩১৯ মেট্রিক টন মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ রয়েছে। যা সড়ক পথে রুপপুর ও পাওয়ার গ্রীডে নেয়া হবে বলে জানায় আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, মালয়েশিয়ার একটি বন্দর থেকে ২০০৬.৫১২ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নঙ্গর করে “এমভি পিটি রিওয়াইন” নামের বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ। জাহাজটি গত ২৫ জুন মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর পরে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। গত ২ জুলাই বিকালে মোংলা বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে এসে ভেড়ে মেশিনারিজ নিয়ে আসা জাহাজটি। এ জাহাজটিতে পাওয়ার গ্রিডের ষ্টিল স্টাকচারের পাইপ ও অন্যান্য লোহা ও ষ্টিলের পণ্য রয়েছে। যা খালাস করছে ষ্টিভিডরস (শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠার) মেসার্স অভিরত এজেন্সি কোম্পানী বলে জানায় শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিরা।  

আর অন্যটি গত ২৪ জুন রাশিয়ার নবরস্কি বন্দর থেকে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। গত ১ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ১৩১৩ মেট্রিক টন মেশিনারীজ পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে এসে নোঙ্গর করে। এ জাহাজটিতে দেশের একটি বড় প্রকল্প রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মুল্যবান বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। জাহাজটি মোংলা বন্দরে পৌছাতে ৮ দিন সময় লেগেছে। মেশিনারিজ পন্যের আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইন্টার পোর্ট লি: কর্তৃপক্ষ। আর পণ্য খালাসকারী প্রতিষ্টান মেসার্স অভিরত এজেন্সী লি: কোম্পানী। দুই জাহাজের পণ্যগুলো মোংলা বন্দরে খালাস করতে সময় লাগবে মাত্র ৩ দিন। মেসার্স অভিরত এজেন্সি কোম্পানীর মাধ্যমে পন্যগুলো খালাস করে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকালে জাহাজ দুটি একই সাথে মোংলা বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে বলে জানায় শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান জানান, মোংলা বন্দরে এক সাথে ৫০টি পণ্য বোঝাই জাহাজ থাকলেও আমাদের জনবল ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করায় কোন বেগ পেতে হবে না। ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘন্টা বন্দরের সকল শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রস্তুত থাকে। জাহাজ আসার সাথে সাথে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য জনবল ও পণ্য খালাসের জন্য যত ধরণের ইকুইপমেন্ট প্রয়োজন হয় তা দ্রুত সরবরাহ করা হয়। যে কারণে ব্যবসায়ীদের এখন সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। আমদানীকারকরা পন্য আনার সাথে সাথে তা দ্রুত খালাস করে বন্দর ত্যাগ করতে পারে। মোংলা বন্দরের সাথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দুরত্ব কম হওয়ায় দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পের পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে এবং যত দিন যাচ্ছে ব্যবসাযীরা এখন মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন