
বিএনপির ভোটের খনিতে হানা দিতে চায় ইসলামী জোট
মোঃ সাইফুল ইসলাম ,বরিশাল
বরিশাল সদরের সংসদীয় আসনটি বিএনপির ভোটের খনি হিসেবে পরিচিত। এরশাদের শাসনামলে এবং ১/১১-এর মতো অস্থির সময়েও এ আসন হারাতে হয়নি বিএনপিকে। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে বিএনপির প্রার্থীদের জয়ের ধারা অব্যাহত ছিল। ২০০৩ ও ২০১২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় ছিল দলটির মর্যাদার প্রতীক। বরিশালের রাজনীতিতে দলটির শেকড় কতটা গভীরে তা প্রমাণ করেছে সদর আসনের নির্বাচনী ফল।
সেই ভোটের খনি যেন এবার কড়া নাড়ছে ইসলামী জোট। যদি জামায়াত-চরমোনাই সহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলো একজোট হয়ে নির্বাচন করে তাহলে এ আসনটিতে বিজয়ী হতে বিএনপি অনেক ঘাম ঝড়াতে হবে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দলের ভেতরে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা, একাধিক গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এবং কিছু নেতার ‘নিজস্ব বলয়’ গড়ে তোলার প্রবণতা জটিল করে তুলেছে বিএনপির রাজনীতিকে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, আশঙ্কা রয়েছে বিএনপি যদি অভ্যন্তরীণ ঐক্যের অভাব কাটিয়ে উঠতে না পারে, নেতৃত্বের বিভাজনের অবসান ঘটাতে না পারে, তাহলে বরিশালের দীর্ঘদিনের নির্ভরযোগ্য আসনটি হারাবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘যাদের যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় অনেক ঘাটতি রয়েছে তেমন লোকজন নেতা হচ্ছেন। ফলে বরিশাল মহানগর বিএনপির মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে নানা গ্রুপের সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান নেতৃত্ব এসব পক্ষকে এক মঞ্চে আনতে পারেনি। কারও কারও মধ্যে আন্তরিকতারও ঘাটতি দেখা গেছে। নিজের মধ্যে সমস্যা থাকলে বিভিন্ন পক্ষ তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক।’ মনোনয়ন দেওয়ার পর বিএনপির সর্বস্তরের নেতারা এক হয়ে দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।