ডার্ক মোড
Friday, 09 May 2025
ePaper   
Logo
সিলেট অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত।ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সুরক্ষা নাগরিকদের দায়িত্ব  --সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ

সিলেট অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত।ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সুরক্ষা নাগরিকদের দায়িত্ব --সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ

 

  
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট ব্যাুরো
 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সুরক্ষায় নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। নাগরিক অধিকারের পাশাপাশি নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। সিলেট অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে। সিলেটে আগত পর্যটকদের প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি লাঘবের জন্য সামাজিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে স্পটভিত্তিক কমিটি গঠনের অনুরোধ করেন। উক্ত কমিটি পর্যটন স্পটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।বাংলাদেশ ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এ মন্ত্রণালয়ের কাজ না হলেও তার অব্যবস্থাপনার জন্য নদী-নালা, খাল-বিল দূষণ ও ভরাট হচ্ছে। এমনকি তা মাইক্রো প্লাস্টিক আকারে মানব দেহে প্রবেশ করে মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করছে। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা)’কে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা  বিধিমালা, ২০২১ যথাযথ প্রতিপালনের বিষয়ে নির্দেশনা দেন এবং এটির বিষয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, বাজার মনিটরিং কমিটি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে আজ ২৯/০৪/২০২৫ খ্রি. সকাল ১০:০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 
 
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সরকারী উদ্যোগ, আইনগত বিধি-নিষেধ নিয়ে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব দেবজিৎ সিংহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব), সিলেট।
 
তিনি খাস জমি চিহ্নিত করে তা ব্যবহারে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। তিনি বাজার কমিটি ও সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে পলিথিন মুক্ত একটি মডেল বাজারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এক্ষেত্রে বাজার কমিটিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন। পরিবেশ সুরক্ষায় আগে নিজে বদলাবো, পরে সমাজ বদলাবো। সরকারি পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বিআরডিবি ইত্যাদি দপ্তরকে সম্পৃক্ত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পলিথিন সম্পর্কে সচেতন ও পলিথিনের বিকল্প পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে সবাইকে অবহিত করেন।
 
এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার,  সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  হুমায়ুন কবির সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পরিবেশের বিভিন্ন  কমিটির নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন