সমুদ্রে ইলিশ শিকার করতে না পারায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় উপকূলের জেলেরা
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
নিম্ন চাপের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্রে উত্তাল হয়ে ওঠায় জীবন বাঁচাতে ইলিশ শূন্য হাতে মাছধরা ট্রলার নিয়ে বন্দরে ফিরেছে জেলেরা। এছাড়া গভীর সমুদ্রে আশানুরূপ ইলিশের দেখা না পাওয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছে পটুয়াখালীর বৃহত্তম মৎস্যবন্দর আলীপুর - মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে পরিবারের মাঝে। এতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন উপকূলের জেলেরা। লোকসানের কবলে পড়েছেন মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুরের আড়ৎ মালিকরা।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে আলিপুর- মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরছে মাছ ধরার হাজার হাজার ট্রলার। এতে ট্রলারে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে শিব বাড়িয়া নদী। বোটগুলো ঘাটে ফিরলেও ইলিশের দেখা মেলেনি।
জেলেরা জানান, বছরের বেশিরভাগ সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা, তারমধ্যে আবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় জেলে পেশায় ধ্বস নেমেছে। অবরোধ শেষে আবার বৈরী আবহাওয়া। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ এবং জেলেদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণের সম্ভবনা রয়েছে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও গভীর সমুদ্রে ইলিশ শিকারে যাবেন জেলেরা।
অপু সাহা আরও বলেন, জেলেদের নিরাপত্তায় নানান ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।