সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প নেই: পীর চরমোনাই
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ‘কালো টাকা, পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প নেই। পি আর পদ্ধতির নির্বাচনে ভোটারদের ভোটের প্রকৃত মুল্যায়ন হয়।’
তিনি আরও বলেন, “যে সকল বিজ্ঞজনেরা বলেন সংবিধান মেনে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা সম্ভব নয়,তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করার সময় কি সংবিধান অনুসরণ করেছিলেন? গণঅভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্রদের বুকের উপর গুলি করে যখন হত্যা করা হয়েছিল তখন কি সংবিধান হয়েছিল?
আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করেছিল এখন কেন আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সংবিধানের দোহাই দেয়া হচ্ছে। বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন দেয়া মানে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন দেয়া এমনটাই ধরে নেয়া যায়, যার কারণ হলো আওয়ামী লীগের প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
যারা রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় রাখতে চান তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি? তারা কি ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগের মতো নিজ দলীয় লোককে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে ফ্যাসিবাদের মত একক শক্তি ব্যবহার করে দেশ চালাবে। তা এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না, ছাত্র জনতার রক্ত বৃথা গেলে দেশ ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। যার কারনে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিভক দলগুলো (পিআর) সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়ে আসছে।”
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইমা পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা শায়খুল হাদিস মুফতি রহুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- মুফতি ওমর ফারুক সন্দিপি, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সম্পাদক সিলেট বিভাগ মুফতি মাওলানা মাঈনুদ্দিন খান তানভীর, বামুক সিলেট বিভাগীয় সদর মুফতি মাওলানা রিজওয়ভনুল হক, সিলেট জেলা সহ সভাপতি উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিয়াষদ মাওলা আমির উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই ওলামদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশের মধ্যে ইসলামী দলগুলো এক হতে যাচ্ছে শুনে অনেকে মাথা ঠিক রাখতে পারছে না। ওলামাগন হলেন নবীদের ওয়ারীস, এই মুহূর্তে ইসলাম দেশ ও মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে আলেমদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে সমাজ রাষ্ট্রের নেতৃত্বের প্রয়োজনে নিজেকে প্রস্তুত করে ইকামতে দ্বীনের পথে চলতে হবে। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সকল আন্দোলন নির্যাতন সহ্য করে সফল হতে হবে ইনশাআল্লাহ।