ডার্ক মোড
Saturday, 21 December 2024
ePaper   
Logo
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দিশেহারা লাখো মানুষ

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দিশেহারা লাখো মানুষ

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। গত দু'দিনে বৃষ্টি না থাকায় শেরপুরের জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।

অতি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি নদী মহারশি,সোমেশ্বরীর পানি ইতিপূর্বেই কমে গেছে। গত দুদিনে ভোগাই ও চেল্লাখালীতেও পানি অনেকটাই কমেছে।

তবে ভাটি এলাকার পানি কমছে ধীরগতিতে। আজ বৃহস্পতিবার  বন‍্যাকবলিত নিন্মাঞ্চলের অন্তত ১০ টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাস্তা-ঘাট সেতু কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়ে জেলার অন্তরীন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

লক্ষাধিক কৃষকের ৫০০ কোটি টাকার আমন আবাদ শাকসব্জির ক্ষতি হয়েছে। ঢলের পানিতে তলিয়ে ৬ হাজার পুকুরের ৭০ কোটি টাকার মাছের ঘেড় ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। হাঁস মুরগি গরু ছাগলের ও ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে জেলায় প্রায় ৭ হাজার কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শতশত গৃহহীন পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এরা পায়নি কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা।  বন্যা–পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে লাখো মানুষের।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে ভোগাই নদের পানি বিপৎসীমার ১৯৮ সেন্টিমিটার এবং চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

তবে নিম্নাঞ্চলের ১০টি ইউনিয়নে নৌকা ও কলাগাছের ভেলা ছাড়া চলাচল করতে পারছেন না বানভাসি লোকজন।

অনেক বাড়ির চারপাশে জমে আছে পানি, ঘরের মেঝেও ভেজা। তাই পরিবারের জন্য চৌকির ওপর রান্নার কাজ করছেন বানভাসিরা

নিম্নঅঞ্চলের পানিবন্দী এলাকায় দরিদ্র নিপীড়িত লোকজন ত্রানের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বানভাসি নারী পুরুষ ও শিশুদের। কখন সরকারি বেসরকারি সংস্থা নৌকা যুগে ত্রাণ নিয়ে আসবে এ অপেক্ষায়। 

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের কাছে নৌকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শুকনা খাবার, স্যালাইন, মোমবাতি ও রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে সেনাবাহিনী,বিজিবি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারিভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন